তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে আলোচনা করো

তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে আলোচনা করো
তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে আলোচনা করো।
তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন স্যার উইলিয়াম -জোন্স। তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্য সীমা বহুধা বিস্তৃত। কোনো বিশেষ ভাষার আলোচনা প্রসঙ্গে তার দূর বা নিকট সম্পর্কিত অপর ভাষার সঙ্গেও তার সম্পর্ক নিরূপণ করা তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ। ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানে বাংলা ভাষার আদিরূপের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে নিকট সম্পর্কিত অসমিয়া, ওড়িয়া, হিন্দি বা মারাঠির মতোই দূর সম্পর্কিত ইংরেজি ইত্যাদি ভাষার প্রসঙ্গও আসতে পারে।

ঐতিহাসিক যুগ সম্পর্কিত আলোচনায় দেখা যায় যে, সেখানে স্ব-ভাষার পশ্চাদ্গমন করে তার মূলে গিয়ে উপনীত হতে হয়। বাংলার ক্ষেত্রে এভাবে দেখা যায়, বাংলা ভাষার আদিরূপ ঐতিহাসিক যুগে পাওয়া যায় – বৈদিক ভাষায়। কিন্তু কোনো কোনো শব্দের, যেমন- ‘মা’ এই বাংলা – শব্দটির আদিরূপটি বৈদিক ভাষায় ‘মাতৃ’। অথচ ইউরোপের বিভিন্ন ভাষায়, বিশেষত শব্দের আদিরূপের সঙ্গে বর্তমান শব্দের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। তখনই আর এই সম্পর্কটা আকস্মিক মিল বা কাকতালীয় বলে মনে হয় না। বরং এদের মধ্যে একটা নিকট সম্পর্কের কথাই মনে হয়। অবশ্য শুধু – একটিমাত্র শব্দ নয়, এরূপ আরও শব্দের মধ্যে এই মিল থাকলে তবেই তা সম্ভবপর। এসব ক্ষেত্রে এ জাতীয় ভাষাগুলির মধ্যে তুলনামূলক সাহায্য গ্রহণ করতে হয়। ভাষা আলোচনায় এই পদ্ধতিকে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান নামে অভিহিত করা হয়।

Leave a Comment