![]() |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধাস্ত্রের প্রকৌশলগত পরিবর্তন |
ভূমিকা
যুদ্ধাস্ত্রের প্রকৌশলগত পরিবর্তন
রাসায়নিক যুদ্ধাস্ত্র: রাসায়নিক যুদ্ধাস্ত্র হল এক ধরনের গণহত্যা বা গণসংহারমূলক যুদ্ধাস্ত্র। এধরনের যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণ ব্যয়বহুল হলেও তৈরি পদ্ধতি সহজ এবং এগুলি হল বিষাক্ত গ্যাস বা ক্ষতিকর তরল বা পাউডার। এগুলি মানবশরীরের পক্ষে ছিল খুবই ক্ষতিকর।
বীজাণু যুদ্ধাস্ত্র : প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে বীজাণু যুদ্ধাস্ত্রের (যেমন : ছোঁয়াচে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, টক্সিন প্রভৃতি) আবিষ্কার ও ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে এগুলি আরও উন্নত হয়েছিল এবং এগুলি প্রয়োগ করে ব্যাপক এলাকার শত্রুপক্ষের জনগণের মোকাবিলা করা ছিল খুব সহজ।
গ্যাস চেম্বার: বন্ধ কক্ষে হাইড্রোজেন সায়ানাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড প্রভৃতি শ্বাসরোধকারী (অ্যাম্ফিকসিয়ান্ট) গ্যাসের সাহায্যে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের হত্যার পদ্ধতি গ্যাসচেম্বার নামে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে নাতসি জার্মানিতে শত্রুপক্ষের বন্দিদের হত্যার জন্য নিউগুয়েমা কনসেনট্রেশন ক্যাম্প, অসচিউইটস ক্যাম্প, ম্যাজডানেক ক্যাম্প নামক গ্যাস চেম্বার ব্যবহার করা হয়েছিল।
ট্রানজিস্টারের প্রবর্তন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রেডিয়ো আর ইলেকট্রনিক গবেষণা পদ্ধতির দ্রুত বিকাশ ঘটে। হালকা, সহজে ব্যবহার করা যায় এমন সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ে। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে যন্ত্রাংশ নির্মাণের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়। ফলে পলকা ভাল্ল্ভের ঘাতসহ প্রবর্তন ঘটে ট্রানজিস্টারের।
রকেট ব্যবহার: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আকাশযানের ব্যবহার বহুগুণ বাড়ে। শত্রুপক্ষকে আক্রমণের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় আকাশযান এক নতুন ঐতিহ্যের সূচনা ঘটায়। আকাশযানের ব্যাপক আক্রমণের ফলে চিরাচরিত আক্রমণ রীতি একেবারে ভেঙে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকে সোভিয়েত রাশিয়া ও পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক হারে এই রকেট ব্যবহার করতে থাকে।