![]() |
পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সমস্যা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলি লেখো। |
পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সমস্যা
কৃষকের অনীহা: পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ কৃষকই এই শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী ফসল চাষ করেন না।
সারা বছর কাঁচামালের অভাব: পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ফল, সবজি উৎপাদন ঋতুভিত্তিক হওয়ায় (গ্রীষ্মকালে আম, লিচু) সারাবছর সমানভাবে কাঁচামাল না পাওয়ার অসুবিধা রয়েছে।
দালাল চক্র: এ রাজ্যে দালালের মাধ্যমে ফসলের হাতবদল হয় বলে কাঁচামালের দাম অনেক বেশি পড়ে।
সংরক্ষণের অভাব: পশ্চিমবঙ্গে হিমায়িত সংরক্ষণাগারের যথাযথ পরিকাঠামোর অভাব এই শিল্পের অন্যতম সমস্যা।
স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার অভাব: পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পকেন্দ্রে স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা নেই। ফলে, খরচ বাড়ে ও হাত দিয়ে কাজ করতে গিয়ে খাবার দূষিত হয়।
দুর্যোগ: এ রাজ্যে খরা ও বন্যার প্রাদুর্ভাব এই শিল্পের কাঁচামালের জোগানে বাধার সৃষ্টি করে।
গুণমান পরীক্ষা: আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পণ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রণ ও পরীক্ষা ব্যবস্থার যথেষ্ট অভাব রয়েছে আমাদের রাজ্যে।
অন্যান্য সমস্যা: প্রত্যন্ত গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগের অভাব, শ্রমিক অসন্তোষ, ফসলে রোগ-পোকার আক্রমণ প্রভৃতি সমস্যা এই শিল্পের বিকাশে বাধার সৃষ্টি করে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
- রাজ্য সরকার এই শিল্পের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বিদেশি বিনিয়োগের পথ সুগম হয়েছে।
- পশ্চিমবঙ্গের শহরগুলিতে শপিংমল বা সুপার মার্কেট যে হারে গড়ে উঠছে তাতে তৈরি করা খাবারের বাজার বৃদ্ধি পাবে।
- এই শিল্পে উৎপন্ন খাদ্যদ্রব্য বিদেশে অধিক রপ্তানির উদ্দেশ্যে সরকার ভরতুকি প্রদান, কর হ্রাস প্রভৃতি ব্যবস্থা নিয়েছে।
- রাজ্যে একাধিক ফুডপার্ক গড়ে তোলার কাজ চলছে।
- গবেষণার মাধমে খাদ্যের গুণমান বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার দ্বারা গৃহীত নীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এই শিল্পজাত দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে বলা যায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।