পশ্চিমবঙ্গের জোয়ারের জলে পুষ্ট নদ-নদীর বৈশিষ্ট্য লেখো

পশ্চিমবঙ্গের জোয়ারের জলে পুষ্ট নদ-নদীর বৈশিষ্ট্য লেখো
পশ্চিমবঙ্গের জোয়ারের জলে পুষ্ট নদ-নদীর বৈশিষ্ট্য লেখো।

দক্ষিণাঞ্চলের নদনদীসমূহ

সুন্দরবন বা সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলের নদনদী – মাতলা, পিয়ালি, গোসাবা, বিদ্যাধরী, ঠাকুরান, রায়মঙ্গল, কালিন্দী, সপ্তমুখী প্রভৃতি।

বৈশিষ্ট্য: 

  • এই অঞ্চলের নদীগুলি দক্ষিণবাহিনী। 
  • নদীগুলি খাঁড়ির মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। 
  • এগুলির উৎস খুঁজে বার করা কঠিন। 
  • জোয়ারের জলে নদীগুলি পুষ্ট বলে ভাটার টানে এদের ঊর্ধ্বপ্রবাহ শুকিয়ে যায়। 
  • নদীগুলির জল লবণাক্ত। 
  • নদীগুলির দৈর্ঘ্য কম। 
  • এগুলি মূল নদীর নিম্ন প্রবাহ। এদের গতি কম এবং পাড় নীচু।

কাঁথি বালিয়াড়ি অঞ্চলের নদনদী– রসুলপুর, যাত্রা, পিছাবনী, চম্পা প্রভৃতি।

বৈশিষ্ট্য: 
  • নদীগুলি মৃতপ্রায় অর্থাৎ প্রায় মজে গেছে। 
  • এগুলি মন্দস্রোতা। তাই সারাবছর জল থাকে না। 
  • জলের পরিমাণও কম। 
  • নদীগুলি মূলত সামুদ্রিক খাঁড়িতে পরিণত হয়েছে।

Leave a Comment