![]() |
পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পের উন্নতির কারণগুলি লেখো। |
হুগলি নদীর উভয় তীরে পাটশিল্পের একদেশীভবনের কারণগুলি আলোচনা করো।
ঐতিহাসিক কারণ: পাট শিল্প স্থাপনের প্রথম অবস্থায় কলকাতা ছিল ইংরেজদের রাজধানী ও প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। তাই কলকাতাকে কেন্দ্র করে হুগলি নদীর উভয় তীরে পাট শিল্পের বিকাশে তারা অর্থ বিনিয়োগ করে।
কাঁচা পাটের সহজলভ্যতা : পশ্চিমবঙ্গ পাট উৎপাদনে ভারতে প্রথম। এ রাজ্যে হুগলি, উত্তর 24 পরগনা, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, মুরশিদাবাদ, দক্ষিণ 24 পরগনা, হাওড়া প্রভৃতি জেলায় প্রচুর পাট উৎপন্ন হয়। ফলে, পাটকলগুলির প্রয়োজনীয় কাঁচা পাটের অভাব হয় না।
কলকাতা বন্দরের সুবিধা: কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি এবং বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানির সুবিধা পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পের উন্নতির অন্যতম কারণ।
শক্তি সম্পদের প্রাচুর্য: পাট শিল্পের প্রয়োজনীয় কয়লা রানিগঞ্জ থেকে পাওয়া যায়। এ ছাড়া কোলাঘাট, ব্যান্ডেল, কাশীপুর, বজবজ, টিটাগড় প্রভৃতি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও দামোদর উপত্যকার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শিল্পের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা: পশ্চিমবঙ্গের পাটকলগুলি জলপথ, সড়কপথ ও রেলপথের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত। ফলে, শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, কয়লা, যন্ত্রপাতি ও শিল্পজাত দ্রব্য পরিবহণে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। জারিত ছি
আর্দ্র জলবায়ু : হুগলি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের আর্দ্র জলবায়ু পাটতত্ত্ব বয়নে অত্যন্ত উপযোগী।
সুলভ শ্রমিক : পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের দক্ষ ও সুলভ শ্রমিক পাট শিল্পের উন্নতি ঘটিয়েছে।
জলসম্পদ: পাট শিল্পের প্রয়োজনীয় জল হুগলি নদী থেকে পাওয়া যায়।
চাহিদা: দেশে-বিদেশে পাটজাত দ্রব্যের বিপুল চাহিদা এই শিল্পের বিকাশে সাহায্য করেছে।
মূলধন বিনিয়োগ: প্রাথমিক অবস্থায় ইংরেজরা এবং পরবর্তীকালে দেশীয় শিল্পপতি, বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থা ও ব্যাংক এই শিল্পের প্রয়োজনীয় মূলধনের জোগান অব্যাহত রেখেছে।