পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদীর গতিপথ বর্ণনা করো

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদীর গতিপথ বর্ণনা করো
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদীর গতিপথ বর্ণনা করো।
গঙ্গা ও তার শাখানদী ভাগীরথী-হুগলি পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদীরূপে পরিচিত। নিম্নে এর গতিপথ আলোচনা করা হল:

গঙ্গা নদীর গতিপথ

(1) উৎস: উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ নামক তুষারগুহা।

(2) দৈর্ঘ্য: মোট 2,525 কিমি, পশ্চিমবঙ্গে 520 কিমি।

(3) গতিপথ: 

  • উচ্চগতি: গোমুখ গুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত গঙ্গার উচ্চগতি।
  • মধ্যগতি: হরিদ্বার থেকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার হয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল পাহাড় পর্যন্ত গঙ্গার মধ্যগতি।
  • নিম্নগতি: রাজমহল পাহাড় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত গঙ্গার নিম্নগতি।

(4) পশ্চিমবঙ্গে প্রবাহ পথ: (ⅰ) ঝাড়খণ্ডের রাজমহল পাহাড়ের কাছে দক্ষিণে বেঁকে গঙ্গা নদী পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় প্রবেশ করেছে। (II) এর পর দক্ষিণ-পূর্বে প্রবাহিত হয়ে মুরশিদাবাদের ধুলিয়ানার নিকট ভগবানগোলায় দুটি শাখায় ভাগ হয়েছে। (iii) প্রধান শাখা পদ্মা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। (iv) অপর শাখাটি পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে ভাগীরথী-হুগলি নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। (v) ধুলিয়ানা থেকে নবদ্বীপ (ভাগীরথী-জলঙ্গীর মিলনস্থল) পর্যন্ত এই নদী ভাগীরথী এবং নবদ্বীপ থেকে মোহানা পর্যন্ত হুগলি নামে পরিচিত।

মোহানা: গঙ্গা নদী পদ্মা ও ভাগীরথী-হুগলি এই দুই শাখায় বিভক্ত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।

উপনদী ও শাখানদী: পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গা নদীর গতিপথে দামোদর, ময়ূরাক্ষী, অজয়, যমুনা, চম্বল, শোন ইত্যাদি উপনদী এবং ইছামতী, চূর্ণি, মাথাভাঙা, জলঙ্গী ইত্যাদি শাখানদী সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Comment