পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় পর্যটনক্ষেত্রের নাম লেখো

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় পর্যটনক্ষেত্রের নাম লেখো
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় পর্যটনক্ষেত্রের নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রধান পর্যটন শিল্পক্ষেত্রগুলি হল–

সৈকত নির্ভর পাটিন ক্ষেত্র: পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা, শংকরপুর, জুনপুট, মন্দারমনি, তাজপুর, বকখালি ইত্যাদি স্থানে বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

প্রকৃতি নির্ভর পর্যটন ক্ষেত্র: পশ্চিমবঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। এখানকার জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্স অঞ্চলে গোরুমারা, জলদাপাড়া, আলিপুরদুয়ারের বক্সা-জয়ন্তী ইত্যাদি অভয়ারণ্য, জাতীয় উদ্যান ও পাহাড়-অরণ্যকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে, দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পং ইত্যাদি স্থানে মনোরম জলবায়ু ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

তীর্থক্ষেত্র নির্ভর পর্যটন ক্ষেত্র: পশ্চিমবঙ্গে তীর্থ- ক্ষেত্রের সমাবেশ ঘটেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় তীর্থক্ষেত্র হিসেবে গঙ্গাসাগর, তারাপীঠ, বক্রেশ্বর, ফুলুরা, নলহাটি, তারকেশ্বর, সাঁইথিয়া, ব্যান্ডেল, ফুরফুরা শরিফ ইত্যাদি স্থানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

সুন্দরবন পর্যটন ক্ষেত্র: পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে অবস্থিত ম্যানগ্রোভ অরণ্য (প্রধানত সুন্দরী গাছের প্রাধান্য দেখা যায়), সুন্দরবন-এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বন্যপ্রাণী (রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, নানা প্রকার সাপ, পাখি ইত্যাদি)-কে কেন্দ্র করে সজনেখালি, বকখালি, ঝড়খালি, সাদখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, বনিক্যাম্প ইত্যাদি স্থানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

স্থাপত্যাকন্দ্র নির্ভর পর্যটন ক্ষেত: মালদার গৌড়ে শশাঙ্কের কারাগার, বল্লাল সেনের ঢিবি, মুরশিদাবাদের হাজারদুয়ারি, বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার মন্দির প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্ভর পাটিন ক্ষেত্র: পুরুলিয়ার ছৌ-নাচ, মালদা জেলার গম্ভীরানৃত্য, বাংলার ভাটিয়ালী গান, জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি, শান্তিনিকেতন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে নাম করেছে।

Leave a Comment