![]() |
পাঠ্যাংশ অবলম্বনে ‘আর্যাবর্ত দেশ’-এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও |
আর্যাবর্তের স্বরূপ আর্যাবর্ত নামক দেশের স্বরূপ বর্ণনা প্রসঙ্গে কবি বলেছেন- এই দেশ সকল দেশের থেকে অগ্রগণ্য। পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য যেন এক জায়গায় মিলিত হয়েছে। প্রজাদের মধ্যে নেই কোনো সামাজিক অব্যবস্থা। নদীর তীরগুলি ভগবান শিবের জটাধারের পীত। এখানে ভগীরথের আনীত পবিত্র গঙ্গা প্রবাহিত। এই দেশ ধর্মের আশ্রয়, সম্পদের কেন্দ্রস্থল, কল্যাণের আশ্রয়, সৎপুরুষদের বিচরণভূমি এবং গুরুকুল দ্বারা পরিচালিত।
রোগমুক্ত প্রজাকুল আর্যাবর্তের প্রজাকুল যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন নীরোগ অবস্থায় সুখে-শান্তিতে বাস করে। তারা নিরন্তর ধর্ম-কর্মের মাধ্যমে সবরকম দৈহিক, দৈবিক এবং ভৌতিক বিপদ থেকে মুক্ত। দেশে কুষ্ঠরোগ, ফোড়া-ফুসকুড়ি, বাত-পিত্ত-শ্লেষ্মা জাতীয় দোষত্রয় প্রভৃতি রোগ দেখা যায় না।
রম্য গৃহ ও গৃহী আর্যাবর্তের গ্রাম, নগর, পাহাড়, বন প্রভৃতির পরিবেশ খুব সুন্দর। সুসজ্জিত গ্রাম, বনবেষ্টিত পাহাড়, উঁচু অট্টালিকা শোভিত নগর, রসালো ফল, মনোরম নিবৃত্তি স্থান আখের দানশালা, গভীর সুস্বাদু কুয়োর জল, সতীসাধ্বীদের সূর্যকান্তি – সবকিছুই আর্যাবর্তকে সুন্দর করে তুলেছে।