প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য কী কী

প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য কী কী
প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য কী কী?
সমুদ্র উপকূলের বিশেষত মোহানার লবণাক্ত কাদাময় জলাভূমিতে যে লবণাম্বু উদ্ভিদের অরণ্য দেখা যায়, তাকে ম্যানগ্রোভ অরণ্য বলে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলে গঙ্গা নদীর মোহানায় ভারতের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য গড়ে উঠেছে। এই অরণ্যে প্রচুর সুন্দরী গাছ থাকায় এর নাম সুন্দরবন।

প্রধান প্রধান বৃক্ষ :
পশ্চিমবঙ্গের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের প্রধান প্রধান বৃক্ষগুলি হল সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হোগলা, গোলপাতা, ক্যাওড়া, ছাতিম, কেয়া, বনতুলসী প্রভৃতি।

অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য:

  • শ্বাসমূল: লবণাক্ত জলাভূমিতে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাস গ্রহণে অসুবিধা হয় বলে এক বিশেষ ধরনের মূল মাটির ওপর অভিকর্ষের বিপরীতে বেরিয়ে আসে। এগুলিকে শ্বাসমূল বলা হয়।
  • ঠেসমূল: নরম কাদামাটিতে জোয়ারভাটার জলপ্রবাহ সহ্য করে যাতে সোজাভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তার জন্য এই অরণ্যের অধিকাংশ বৃক্ষের গোড়ায় ঠেসমূল সৃষ্টি হয়।
  • রসালো কান্ড: ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বৃক্ষের কান্ড রসালো প্রকৃতির।
  • দীর্ঘমূল: এই জাতীয় উদ্ভিদের মূলগুলি খুব দীর্ঘ ও প্রসারিত হয়।
  • চিরহরিৎ অরণ্য: এই অরণ্যে সারা বছরই সবুজ পাতা দেখা যায়।
  • জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম: গাছের বীজ কাদাময় জলাভূমিতে পড়ে যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য গাছে থাকা অবস্থায় ফলের মধ্যে বীজের অঙ্কুরোদ্গম হয়। একে জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম বলে। রাইজোফোরা নামক উদ্ভিদে দেখা যায়।

Leave a Comment