ফ্যাসিবাদ ও নাতসিবাদের মধ্যে সাদৃশ্যগুলি লেখো

ফ্যাসিবাদ ও নাতসিবাদের মধ্যে সাদৃশ্যগুলি লেখো
ফ্যাসিবাদ ও নাতসিবাদের মধ্যে সাদৃশ্যগুলি লেখো।
ইটালিতে মুসোলিনির নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদ এবং জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্বে নাতসিবাদের উত্থান ঘটে। দুটি আদর্শ মোটামুটি একই আদর্শ ও চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। তাই এই দুই আদর্শকে সমাজবিজ্ঞানীরা ফ্যাসিবাদী আদর্শ বলে চিহ্নিত করেছেন।

ফ্যাসিবাদ ও নাতসিবাদের মধ্যে সাদৃশ্য

উগ্র জাতীয়তাবাদের সমর্থক : ফ্যাসিবাদ ও নাতসিবাদ ছিল উগ্র জাতীয়তাবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত। উভয় মতবাদই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচার করতেন।

যুদ্ধের পক্ষপাতী ও শান্তি বিরোধী:
মুসোলিনির মতে, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি কাপুরুষের স্বপ্ন’ আবার হিটলার মনে করতেন, শাশ্বত যুদ্ধেই মানুষকে মহান করেছে’-এই উক্তি দুটির মধ্যেই বোঝা যায় উভয় মতবাদই ছিল যুদ্ধের পক্ষপাতী এবং শান্তি বিরোধী।

একদলীয় শাসন ও একনায়কতন্ত্র: ফ্যাসিবাদী ও নাতসিবাদীরা একদলীয় একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তৎপর ছিলেন।

সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বিরোধী: সমাজতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি উভয় আদর্শের সীমাহীন ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছিল।

সর্বাত্মক ক্ষমতার নীতিতে বিশ্বাসী: উভয় মতবাদেই রাষ্ট্রের সর্বাত্মক ক্ষমতার নীতিতে বিশ্বাসী ছিল।

সর্বনিয়ন্ত্রণবাদ রাষ্ট্র গঠন: উভয় মতবাদই রাষ্ট্রের সব কিছুকেই নাতসি ও ফ্যাসিবাদী নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠিত করাকে গুরুত্ব দিত।

বিরোধী দল ও ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপন্থী : উভয় মতবাদেই বিরোধী দলের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং ব্যক্তি স্বাধীনতাকে মান্যতা দেয় না।

জাতির শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা বৃদ্ধি: উভয় মতবাদেরই লক্ষ্য ছিল জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা।

Leave a Comment