লীডার ও গজল
‘লীডার’ হল এক ধরনের জার্মান সংগীত এবং ‘গজল’ হল ইরানীয় সংগীতবিশেষ।
লীডার ও গজল শুনে অপূর্ব মনে হওয়ার কারণ
প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর মনে হয়েছে, লীডার এবং গজল গানের সুর অপূর্ব। এই গানের সময় যদি আরও দীর্ঘস্থায়ী হত তবে শ্রোতা হিসেবে প্রাবন্ধিকের আরও ভালো লাগত। সেই গান অসম্পূর্ণরূপেই শ্রুতিমাধুর্য সৃষ্টি করত।
রবীন্দ্রগানের সঙ্গে তুলনা
জার্মান ‘লীডার’ গান বা ইরানের ‘গজল’ গান রবীন্দ্রগানের সমতুল্য হতে পারেনি। রবীন্দ্রগানের মতো হুবহু গান জার্মানিতে আছে এবং সেগুলি জার্মানদের প্রিয়-সেই গানই ‘লীডার’। সেখানে কথা দিয়েছেন গ্যোটের মতো কবি আর সুর দিয়েছেন বেটোফোনের মতো সংগীতকার।
কিন্তু রবীন্দ্রসংগীত এইরকম সৃজনপথের চেয়েও বহুগুণে উৎকৃষ্ট। অনুভূতির সূক্ষ্মতা, কল্পনার প্রসার এবং বিশেষ করে সুর ও কথার অঙ্গাঙ্গি- সম্পর্ক সব কিছুই রবীন্দ্রগানে অনন্য। তাই অন্য প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলেছেন, “বিজড়িত অর্ধনারীশ্বর পৃথিবীর কোনো গান বা ‘লীডার’ জাতীয় সৃষ্টিতে আজ পর্যন্ত অবতীর্ণ হননি রবীন্দ্রসংগীতে যে রকম হয়েছে।” প্রাবন্ধিকের মতে, তাই লীডার ও গজল গান দ্বারা রবীন্দ্রসংগীতের ঈষৎ বিশ্লেষণ করা গেলেও রবীন্দ্রসংগীত তুলনাহীন; কারণ তা কখনোই অসম্পূর্ণরূপে ধরা দেয় না।