![]() |
বাংলা চলচ্চিত্রে নির্বাক যুগের ছায়াছবির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো। |
ভারতে চলচিত্রের প্রদর্শন
ম্যাডান থিয়েটার ও বাংলার প্রেক্ষাগৃহের প্রসার
বিংশ শতকের গোড়ায় বাংলায় সিনেমা দেখানোর বিষয়টা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় জে এফ ম্যাডান নামে এক পার্শি ব্যবসায়ীর উদ্যোগে। ১৯০৭-এ তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘এলফিনস্টোন পিকচার প্যালেস’ নামে প্রেক্ষাগৃহ। পরে নাম পালটে হয় যথাক্রমে ‘মিনার্ভা’ ও ‘চ্যাপলিন’। ম্যাডান পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠা করেন ম্যাডান থিয়েটার ও ‘প্যালেস অফ ভ্যারাইটিস’। পরবর্তীতে যা ‘এলিট’ সিনেমা নামে খ্যাত হয়। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ম্যাডানের প্রযোজনায় তৈরি হল প্রথম বাংলা ছবি ‘বিল্বমঙ্গল’। এটি প্রদর্শিত হয় ‘কর্নওয়ালিশ থিয়েটার’ অর্থাৎ ‘শ্রী’ সিনেমাতে। এ ছাড়া ম্যাডানের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি ছিল ‘দ্য ইলেকট্রিক থিয়েটার’ (রিগ্যাল), ‘গ্র্যান্ড অপেরা হাউস’ (গ্লোব) ও ‘ক্রাউন’ (উত্তরা)।
নির্বাক সিনেমার প্রসার ও জনপ্রিয়তা
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ম্যাডানের ‘বিল্বমঙ্গল’-এর নির্মাণ, অভিনয় ও পরিকল্পনার প্রধান উদ্যোগী ছিলেন প্রিয়নাথ গাঙ্গুলি। এ ছাড়াও ম্যাডানের প্রযোজনায় ‘বিষবৃক্ষ’, ‘প্রফুল্ল’, ‘জনা’, ‘নল-দময়ন্তী’, ‘নৌকাডুবি’ ইত্যাদির মতো প্রায় ৬২টি ছবি তৈরি হয়। ম্যাডানের এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে কলকাতায় আরও অনেক কোম্পানির জন্ম হয়। এদের মধ্যে ইন্দো-ব্রিটিশ ফিল্ম, অরোরা ফিল্ম কোম্পানি, আর্য ফিল্মস, তাজমহল ফিল্মস প্রভৃতির নাম উল্লেখ্য। নির্বাক যুগের এই পর্বেই সরকার সিনেমা সংক্রান্ত দুটি আইন তৈরি করে। যার একটি হল ‘সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্ট অফ ইন্ডিয়া’ এবং আর একটি হল ‘বেঙ্গল অ্যামিউজমেন্ট ট্যাক্স অ্যাক্ট’।