![]() |
বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলোচনা করো |
বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানের চর্চা ও গবেষণার জন্য কলকাতায় যে-সংস্থা তৈরি করেছিলেন তার নাম বসু বিজ্ঞান মন্দির।
জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিভা : বাংলার ও বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার মানচিত্রে এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব জগদীশচন্দ্র বসু। প্রথম দিকে তিনি পদার্থবিদ্যা নিয়ে বিএ পাস করে পরে বিলেতে ডাক্তারি পড়তে যান। ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে সেখান থেকে বিএসসি পাস করে দেশে ফিরে আসেন। তাঁর প্রথম গবেষণার বিষয় ছিল বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ; যার সাহায্যে বিনা তারে তিনি এক ঘর থেকে অন্য ঘরে সংকেত পাঠাতে সমর্থ হয়েছিলেন। জগদীশচন্দ্রের এই আবিষ্কার বৈজ্ঞানিক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টর অফ সায়েন্স উপাধি প্রদান করেছিল।
জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিভা : বাংলার ও বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার মানচিত্রে এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব জগদীশচন্দ্র বসু। প্রথম দিকে তিনি পদার্থবিদ্যা নিয়ে বিএ পাস করে পরে বিলেতে ডাক্তারি পড়তে যান। ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে সেখান থেকে বিএসসি পাস করে দেশে ফিরে আসেন। তাঁর প্রথম গবেষণার বিষয় ছিল বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ; যার সাহায্যে বিনা তারে তিনি এক ঘর থেকে অন্য ঘরে সংকেত পাঠাতে সমর্থ হয়েছিলেন। জগদীশচন্দ্রের এই আবিষ্কার বৈজ্ঞানিক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টর অফ সায়েন্স উপাধি প্রদান করেছিল।
বিজ্ঞানে মৌলিক অবদান ও বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর : প্যারিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পদার্থবিদ্যা কংগ্রেসে আমন্ত্রিত হয়ে ‘জড় ও জীবের মধ্যে উত্তেজনাপ্রসূত বৈদ্যুতিক সাড়ার সমতা’ প্রবন্ধটি পাঠ করে তিনি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেইসঙ্গে উদ্ভিদ ও প্রাণীর পেশিতন্ত্র নিয়েও তিনি গবেষণা করেন। মানুষের স্মৃতিশক্তির যান্ত্রিক মডেল, আধুনিক র্যাডার যন্ত্র, ইলেকট্রনিক্স কম্পিউটার ইত্যাদি জগদীশচন্দ্র বসু বিষয়ে তাঁর কাজ ও চিন্তা পথ দেখিয়েছিল। তাঁর অন্যতম মৌলিক গবেষণা যা সারা পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছিল, তা হল ‘উদ্ভিদের চেতনা অনুভূতি’। জগদীশচন্দ্র প্রমাণ করেছিলেন যে, উদ্ভিদও মানুষের মতো উত্তেজনায় সাড়া দেয়।
বসু বিজ্ঞান মন্দির ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উৎসাহ : দেশ-বিদেশ থেকে বহু সম্মানে ভূষিত এই কিংবদন্তি বিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণার জন্য ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ স্থাপন করেন। পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য ড. বসু বেশ কিছু যন্ত্রও আবিষ্কার করেছিলেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ‘ক্রেসকোগ্রাফ’, ‘স্ফিগমোগ্রাফ’, ‘পোটোমিটার’, ‘ফোটোসিন্থেটিক বাবলার’ ইত্যাদি। ‘অব্যক্ত’ নামক বাংলা গ্রন্থটিতে এই বৈজ্ঞানিকের শিল্পীমনের পরিচয় পাওয়া যায়। জগদীশচন্দ্রের অন্যান্য রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: ‘Plant Responses as a means of Physiological Investigation’, ‘Physiology of Photosynthesis’, ‘Nervous Mechanism of Plants’ প্রভৃতি।
বসু বিজ্ঞান মন্দির ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উৎসাহ : দেশ-বিদেশ থেকে বহু সম্মানে ভূষিত এই কিংবদন্তি বিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণার জন্য ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ স্থাপন করেন। পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য ড. বসু বেশ কিছু যন্ত্রও আবিষ্কার করেছিলেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ‘ক্রেসকোগ্রাফ’, ‘স্ফিগমোগ্রাফ’, ‘পোটোমিটার’, ‘ফোটোসিন্থেটিক বাবলার’ ইত্যাদি। ‘অব্যক্ত’ নামক বাংলা গ্রন্থটিতে এই বৈজ্ঞানিকের শিল্পীমনের পরিচয় পাওয়া যায়। জগদীশচন্দ্রের অন্যান্য রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: ‘Plant Responses as a means of Physiological Investigation’, ‘Physiology of Photosynthesis’, ‘Nervous Mechanism of Plants’ প্রভৃতি।