![]() |
বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি বিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও। |
ভাষার ধ্বনি বিশ্লেষণের সময় বিশ্লেষণের সুবিধার জন্য, প্রতিটি ধ্বনিকে আলাদা আলাদা খন্ড একক হিসেবে ধরা হয়। একেই খণ্ড ধ্বনি বা বিভাজ্য ধ্বনি বলা হয়।
বিভাজ্য ধ্বনির দুটি মূলভাগ হল-(১) স্বরধ্বনি ও (২) ব্যঞ্জনধ্বনি।
[১] স্বরধ্বনি: যে-ধ্বনি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণরূপে উচ্চারিত হতে পারে তাকে স্বরধ্বনি বলে। যেমন-অ, আ, ই ইত্যাদি। স্বরধ্বনিকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
- মৌলিক স্বরধ্বনি: যে-স্বরধ্বনিগুলি অবিভাজ্য তাদের মৌলিক স্বরধ্বনি বলে। এই ধ্বনিকে বিশ্লেষণের সময় মুখগহ্বরের আয়তন, জিহ্বা এবং ওষ্ঠ্যের আকার-আকৃতির উপর নির্ভর করা হয়। বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ৭;এগুলি হল-অ, আ, ই, উ, এ, ও এবং অ্যা। ‘অ্যা’ ধ্বনিটি লেখার জন্য আলাদা কোনো বর্ণ নেই।
- যৌগিক স্বরধ্বনি: যে-স্বরধ্বনিগুলি একাধিক মৌলিক স্বর নিয়ে গঠিত সেগুলি যৌগিক স্বরধ্বনি। যথা-ঐ, ঔ। বাংলা স্বরধ্বনিতে যৌগিক স্বর লেখার জন্য স্বতন্ত্র দুটি বর্ণ হল ঐ, ঔ। অন্য যৌগিক স্বরগুলি লেখার জন্য স্বতন্ত্র কোনো বর্ণ নেই। যেমন-আও, অও, আই ইত্যাদি।
[২] ব্যঞ্জনধ্বনি: যে-ধ্বনি স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না এবং উচ্চারণকালে মুখবিবরের কোথাও-না-কোথাও সম্পূর্ণ বা আংশিক বাধা পায় সেগুলি ব্যঞ্জনধ্বনি। যেমন-ক্, খ, গ, ঘ, ঙ্ ইত্যাদি। বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা ৩০টি। কিন্তু বর্ণমালায় ৩৯টি বর্ণ আছে। এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার মান্য চলিত বাংলায় ন্, প্-এর মধ্যে উচ্চারণে পার্থক্য নেই। আবার শ, ষ, স্-এদের মধ্যেও উচ্চারণের পার্থক্য তেমন নেই।