![]() |
ভাগীরথী-হুগলি নদীকে ‘পশ্চিমবঙ্গের জীবনরেখা’ বলে কেন? |
গঙ্গা নদীর একটি শাখা নদী হল ভাগীরথী-হুগলি। এই নদী পশ্চিমবঙ্গের প্রধান ও দীর্ঘতম নদী। এই নদীকে ‘পশ্চিমবঙ্গের জীবনরেখা’ বলার কারণ-
উর্বর কৃষিভূমি: ভাগীরথী-হুগলি নদী অববাহিকায় নদীর নবীন পলি সঞ্চয় হয়ে বিস্তীর্ণ উর্বর কৃষিভূমি তৈরি হয়েছে, যা কৃষি উৎপাদনে সহায়ক।
হুগলি শিল্পাঞ্চল গঠন: হুগলি নদীর জল, জলপথে পরিবহণ, উর্বর মাটিতে পাট চাষ প্রভৃতি অনুকূল পরিবেশ থাকায় হুগলি নদীর উভয় তীরে পাট শিল্প গড়ে উঠেছে।
পরিবহণ ও কলকাতা বন্দর: পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে জলপথ সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম। ভাগীরথী-হুগলি নদীর তীরে কলকাতা বন্দর গড়ে উঠেছে। এই বন্দর সমগ্র পূর্ব ভারতের বাণিজ্য দ্রব্য আমদানি-রপ্তানিতে সাহায্য করে।
এছাড়া ভাগীরথী-হুগলি নদী পানীয় জল, নদীর মাছ প্রভৃতি জোগান দিয়ে থাকে। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক উন্নতিতে ভাগীরথী-হুগলি নদীর অসীম গুরুত্ব থাকায় এই নদীকে ‘পশ্চিমবঙ্গের জীবনরেখা’ বলে।