![]() |
মুসোলিনির বিদেশ নীতিগুলি কী ছিল? |
মুসোলিনি বলিষ্ট বিদেশনীতি গ্রহণের মাধ্যমে ইতালিকে শ্রেষ্ঠ আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য তিনি কতকগুলি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
মুসোলিনির বিদেশি নীতি
ফ্রান্সের বিরোধিতা প্যারিসের শান্তি সম্মেলন : (১৯১৯ খ্রি.) থেকেই ফ্রান্সের সঙ্গে ইটালির বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। কারণ ফ্রান্সের বিরোধিতায় ইটালি টিউনিশিয়া, কর্সিকা, স্যাভয়, নীস্ প্রভৃতি স্থান লাভে বঞ্চিত হয়। মূলত আদর্শগত, আঞ্চলিক, সামরিক, কূটনৈতিক এই চারটি ক্ষেত্রে ফ্রান্সের সঙ্গে ইটালির বিরোধ শুরু হয়।
রোমের সন্ধি স্বাক্ষর: জার্মানিতে হিটলারের উত্থান ফ্রান্সকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে। ফ্রান্সের ধারণা হয় নাতসি-জার্মানির সঙ্গে ফ্যাসিস্ট ইটালি যোগ দিলে ফ্রান্স বিপদের সম্মুখীন হবে। তাই ইতালির প্রতি ফ্রান্স নরম নীতি গ্রহণ করে এবং ইটালিকে কাছে টানার চেষ্টা করে। সাম্রাজ্য ক্ষুধায় কাতর ইতালিও এই সুযোগের সদব্যবহার করে নিজের প্রয়োজনের স্বার্থে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের সঙ্গে রোমের সন্ধি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির দ্বারা সোমালিল্যান্ডের কিছু অংশ ফ্রান্স ইটালিকে ছেড়ে দেয়।
আবিসিনিয়া আক্রমণ: মূলত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই মুসোলিনি আবিসিনিয়া দখল করার পরিকল্পনা করেন। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ওয়ালওয়াল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মদতে লীগের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে (অক্টোবর) আবিসিনিয়া আক্রমণ করেন এবং ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে সমগ্র আবিসিনিয়া দখল করে নেন।
অ্যান্টি কমিন্টার্ন প্যাক্ট স্বাক্ষর: সোভিয়েত রাশিয়ার সাম্যবাদকে প্রতিহত করার জন্য ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি ও ইটালির মধ্যে সাম্যবাদ বিরোধী (Anti Comintern Pact) স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ইটালি ওই একই উদ্দেশ্য নিয়ে এই চুক্তিতে অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে যোগদান করে। যার পরিণতিতে গড়ে ওঠে রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষশক্তি।