![]() |
রাঢ় সমভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি ও মৃত্তিকা সম্পর্কে যা জান লেখো। |
রাঢ় সমভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি
পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের পূর্বপ্রান্ত থেকে ভাগীরথী-হুগলি নদীর অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তৃত প্রাচীন পলিগঠিত অঞ্চলটি রাঢ় অঞ্চল নামে পরিচিত।
অর্থ: সাঁওতালি ভাষার ‘রাঢ়ো’ শব্দ থেকে ‘রাঢ়’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ ‘পাথুরে জমি’ বা ‘বুক্ষভূমি’।
অবস্থান: বীরভূম ও বাঁকুড়া জেলার প্রায় সমগ্র অংশ, পূর্ব বর্ধমান জেলা এবং মুরশিদাবাদ ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এই অঞ্চলের অন্তর্গত।
উৎপত্তি: পশ্চিমের ছোটোনাগপুর মালভূমির ক্ষয়জাত পদার্থ নদী দ্বারা বাহিত হয়ে এই অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে রাঢ় সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য: এখানকার ভূ-প্রকৃতি রুক্ষ ও মাটির রং লাল। সমভূমি হলেও এই অঞ্চলের স্থানে স্থানে তরঙ্গায়িত ভূমি ও টিলা দেখা যায়। রাঢ় অঞ্চল পশ্চিম থেকে পূর্বে ক্রমশ ঢালু। এখানকার গড় উচ্চতা 50 – 100 মিটার।
রাঢ় সমভূমি অঞ্চলের মৃত্তিকা
রাঢ় সমভূমি অঞ্চলের মৃত্তিকা লাল বর্ণের ল্যাটেরাইট জাতীয়। তবে পূর্বদিকে নদী উপত্যকায় পলি মাটি দেখা যায়। এখানে লোহিত বা ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার উর্বরাশক্তি ও জলধারণ ক্ষমতা কম। এই অঞ্চলের পশ্চিম দিকে মালভূমি অঞ্চলের সীমান্তে মৃত্তিকা ক্ষয়ের ফলে খোয়াই ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়েছে।