লাওৎসি সম্পর্কে কী জানো

লাওৎসি সম্পর্কে কী জানো

লাওৎসি সম্পর্কে কী জানো
লাওৎসি সম্পর্কে কী জানো

লাওৎসি

চিনা দার্শনিক লাওৎসি তাও দর্শনের প্রবর্তকরূপে খ্যাত।

(1) সময়কাল: কিংবদন্তি অনুসারে, লাওৎসি কনফুসিয়াসেরও পূর্বে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে অনেক ঐতিহাসিকই এই কথার ভিন্নমত পোষণ করেন। তাঁদের মতে, কনফুসীয়পন্থার সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক। অন্যদিকে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক নাগাদ চু শাসন আমলে তাওবাদের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাই এই দার্শনিকের যথার্থ সময়কাল নিয়ে কিছুটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

(2) পরিচয়: জনশ্রুতি মতে, লাওৎসি ছিলেন রাজকীয় গ্রন্থাগারের একজন অধ্যক্ষ। রাজনৈতিক কূটচক্রে পড়ে লাওৎসি যখন দেশত্যাগের সংকল্প নেন, তখন তাঁরই এক অনুগত ব্যক্তির অনুরোধে তিনি রচনা করেন তাও দর্শন বিষয়ক তাও-তে-কিং গ্রন্থটি।

(3) কনফুসিয়াসের সঙ্গে সাক্ষাৎ: জানা যায় যে, লাওৎসির সঙ্গে প্রথিতযশা চিনা দার্শনিক কনফুসিয়াসের সাক্ষাৎ হয়েছিল। কনফুসিয়াস লাওৎসিকে তাও দর্শন-বিষয়ক কিছু প্রশ্ন করলে তিনি উপদেশ দিয়েছিলেন যে, একজন সমৃদ্ধ ব্যবসায়ী যেমন নিজের প্রভূত ঐশ্বর্য গোপন রাখেন তেমনই কনফুসিয়াসেরও উচিত নিজের গর্ব, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, বাহ্যিক আড়ম্বর পরিহার করা। কারণ, এই সকল বিষয় চারিত্রিক উৎকর্ষের পরিপন্থী।

(4) অবদান: লাওৎসি তাঁর তাওবাদে প্রাকৃতিক নিয়ম, সরলতা, স্বতঃস্ফূর্ততার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মানুষকে জীবনযাপন করতে বলেছেন। লাওৎসির মতাদর্শ ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্তৃত্ববাদ-বিরোধী আন্দোলনে প্রেরণা দান করেছে।

আরও পড়ুন – নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment