![]() |
সুয়েজ খাল খনন ও তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। |
ভূমিকা
শিল্পবিপ্লবের একটি বিশেষ দিক ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল শিল্পবিপ্লবের সম্প্রসারণের একটি অতি প্রয়োজনীয় মাধ্যম। ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগের জন্য ভূমধ্যসাগর ও লোহিতসাগরকে যুক্ত করে সুয়েজ খাল খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সুয়েজ খাল খনন
সুয়েজ খাল খননের পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটে দেখা যায় যে-
[১] নেপোলিয়নের উদ্যোগ : নেপোলিয়নের মিশর আক্রমণের (১৭৯৮ খ্রি.) সময় ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরের মধ্যে সংযোগকারী খাল খননের পরিকল্পনা গৃহীত হয়, কিন্তু তা খরচসাপেক্ষ, ঝুঁকিপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ বলে বাতিল করা হয়।
[১] নেপোলিয়নের উদ্যোগ : নেপোলিয়নের মিশর আক্রমণের (১৭৯৮ খ্রি.) সময় ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরের মধ্যে সংযোগকারী খাল খননের পরিকল্পনা গৃহীত হয়, কিন্তু তা খরচসাপেক্ষ, ঝুঁকিপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ বলে বাতিল করা হয়।
[২] ইউরোপ-ভারত বাণিজ্য: উনিশ শতকে ক্রমবর্ধিষ্ণু ইউরোপ-ভারত বাণিজ্য সুয়েজ খাল খননে উৎসাহ জুগিয়েছিল।
[৩] ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দ: বিভিন্ন পরিকল্পনা ও তার ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে সুয়েজ খাল খনন প্রক্রিয়ার সূচনা হয় এবং দশ বছর ধরে খননকার্য চলার পরে ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে এটি খুলে দেওয়া হয়।
সুয়েজ খালের গুরুত্ব
সুয়েজ খালটি বর্তমানে ১০১ মাইল লম্বা, ৩২ ফুট গভীর ও ১৪৪ ফুট চওড়া। স্বাভাবিক কারণেই এই কৃত্রিম জলপথ ছিল বিশ্ববাণিজ্য ও শিল্প বিপ্লবের প্রসারে খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ- (১) এটি ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরের মধ্যে যোগসাধনকারী জলপথ; তাই এর মাধ্যমে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যে জলপথে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপিত হয়। (২) এই কৃত্রিম জলপথটি ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির এশিয়া ও আফ্রিকায় নতুন নতুন উপনিবেশ বিস্তারকে সহজসাধ্য করে তুলেছিল।