![]() |
হিটলার কেন এবং কীভাবে চেকোশ্লোভাকিয়া দখল করেছিলেন? |
অস্ট্রিয়া দখলের পর হিটলারের পরবর্তী লক্ষ্য হয় চেকোশ্লোভাকিয়া দখল। চেকোশ্লোভাকিয়া দখল ছিল হিটলারের নির্লজ্জ সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ।
চেকোশ্লোভাকিয়া আক্রমণের কারণ
(১) চেকোশ্লোভাকিয়ার প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ ছিল জার্মান জাতিগোষ্ঠীর (২) চেকোশ্লোভাকিয়ার সামরিক গুরুত্ব (৩) চেকোশ্লোভাকিয়ার শিল্প কারখানা সম্পদ হস্তগত করা (৪) পূর্ব ইউরোপে জার্মানির সাম্রাজ্য বিস্তার নীতির সম্প্রসারণ।
হিটলারের যুদ্ধ প্রস্তুতি
হিটলার পরিকল্পনা মাফিক চেকোশ্লোভাকিয়ার জার্মান ভাষাভাষীর জনগণকে উসকে দিতে থাকেন। ফলে তারা চেক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। হিটলার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চেক সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেন।
মিউনিখ চুক্তি
অতঃপর মুসোলিনির উদ্যোগে মিউনিখ চুক্তির (১৯৩৮ খ্রি:) মাধ্যমে চেকোশ্লোভাকিয়ার সুদেতান অঞ্চল হিটলারকে দিয়ে দেওয়া হয় এবং হিটলার অবশিষ্ট চেকোশ্লোভাকিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন।
চুক্তির অসারতা
কিন্তু মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষর করেও চেকোশ্লোভাকিয়াকে রক্ষা করা যায়নি। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ৬ মাসের মধ্যেই হিটলার চুক্তির শর্তকে লঙ্ঘন করে ১৫ মার্চ ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে সমগ্র চেকোশ্লোভাকিয়া দখল করে নেন।
হিটলারের রণনীতির একটি অন্যতম কৌশল ছিল ধাপ্পা দেওয়া বা বিশ্বাসঘাতকতা করা। মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরের পর সমগ্র চেকোশ্লোভাকিয়ার দখল নেওয়া ছিল তার ধাপ্পা দেওয়া বা বিশ্বাসঘাতকতার চরম পরিণতি।