হিটলার কেন জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে? নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন ব্যর্থ হয় কেন?

হিটলার কেন জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে? নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন ব্যর্থ হয় কেন
হিটলার কেন জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে? নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন ব্যর্থ হয় কেন?
হিটলার জার্মানির ক্ষমতা লাভের পরেই ভার্সাই সন্ধিকে নাকচ করার কাজে হাত দেন এবং লিগের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে বেপরোয়া সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করেন।

ভার্সাই সন্ধির বিরোধিতা: ভার্সাই সন্ধি (১৯১৯ খ্রি:) ছিল জার্মানির সার্বভৌমত্বের ওপর চরম আঘাত। এই সন্ধির বেড়াজাল থেকে জার্মানিকে মুক্ত করার জন্য হিটলার এই সন্ধির শর্তগুলি ভাঙতে উদ্যোগী হন।

নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে জার্মানির দাবি:
১৯৩২-৩৩ খ্রিস্টাব্দে জেনেভায় নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন বসলে জার্মানি দাবি করে যে, হয় জার্মানিকে ফ্রান্সের সমপরিমাণ অস্ত্র রাখতে দিতে হবে, নতুবা ফ্রান্সের অস্ত্র হ্রাস করে জার্মানির সমান করতে হবে।

ফ্রান্সের বিরোধিতা: জার্মানির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্স জার্মানি অপেক্ষা বেশি অস্ত্র রাখার দাবি জানায়। ফ্রান্সের বিরোধিতায় নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে প্রবল মতানৈক্যের সৃষ্টি হয় এবং জার্মানির দাবি নাকচ হয়ে যায়।

নিরস্ত্রী সম্মেলন ত্যাগ: প্রবল মতানৈক্য, ফ্রান্সের বিরোধিতা এবং সর্বোপরি জার্মানির দাবি নাকচ হলে জার্মানির প্রতি বৈষম্যের অভিযোগে হিটলার নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন থেকে জার্মান প্রতিনিধিদের প্রত্যাহার করেন। এর ফলে নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন ব্যর্থ হয়ে যায়।

জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ : ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন থেকে জার্মানি নিজেকে সরিয়ে আনার সাথে সাথেই ওই বছরই অক্টোবর জাতিসংঘের সদস্যপদও ত্যাগ করে।

বস্তুত নিরস্ত্রীকরণ হিটলারের যুদ্ধ নীতির পরিপন্থী ছিল। যুদ্ধ ও বল প্রয়োগ তাঁর পররাষ্ট্র নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল। এই কারণেই নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন ত্যাগ এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ন উদ্দেশ্যে গঠিত জাতিসংঘ ত্যাগ করা তাঁর প্রয়োজন ছিল।

Leave a Comment