বাঙ্গালা ভাষা প্রবন্ধের MCQ ক্লাস 12 তৃতীয় সেমিস্টার স্বামী বিবেকানন্দ

১। ‘বাঙ্গালা ভাষা’ প্রবন্ধটির লেখক হলেন
(ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(খ) স্বামী বিবেকানন্দ
(গ) রামমোহন রায়
(ঘ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
উত্তরঃ (খ) স্বামী বিবেকানন্দ
২। ‘বাঙ্গালা ভাষা’ প্রবন্ধটি আসলে একটি –
(ক) রম্য রচনা
(খ) পত্র-প্রবন্ধ
(গ) বক্তৃতা
(ঘ) প্রতিবেদন।
উত্তরঃ (খ) পত্র-প্রবন্ধ
৩। ‘বাঙ্গালা ভাষা’ প্রবন্ধটি কোন্ গ্রন্থের অন্তর্গত?
(ক) ‘বর্তমান ভারত’
(খ) ‘ভাববার কথা’
(গ) ‘পরিব্রাজক’
(ঘ) ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য’।
উত্তরঃ (খ) ‘ভাববার কথা’
৪। ‘বাঙ্গালা ভাষা’-র উৎসপত্রটি স্বামীজি লেখেন –
(ক) স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ-র উদ্দেশে
(খ) স্বামী শুদ্ধানন্দ-র উদ্দেশে
(গ) স্বামী সারদানন্দ-র উদ্দেশে
(ঘ) স্বামী প্রজ্ঞানন্দ-র উদ্দেশে।
উত্তরঃ (ক) স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ-র উদ্দেশে
৫। ‘বাঙ্গালা ভাষা’-র উৎসপত্রটি স্বামীজি কোন্ স্থান থেকে প্রেরণ করেছিলেন?
(ক) জাপান
(খ) ইংল্যান্ড
(গ) ফ্রান্স
(ঘ) আমেরিকা।
উত্তরঃ (ঘ) আমেরিকা
৬। ‘বাঙ্গালা ভাষা’-র উৎসপত্রটি লেখা হয়েছিল –
(ক) ১৯০০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি
(খ) ১৯০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি
(গ) ১৯০০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি
(ঘ) ১৯০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি।
উত্তরঃ (ক) ১৯০০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি
৭। কোন্ পত্রিকার সম্পাদককে স্বামীজি ‘বাঙ্গালা ভাষা’-এর উৎসপত্রটি লিখেছিলেন?
(ক) উদ্বোধন
(খ) আনন্দবাজার
(গ) দেশ
(ঘ) বর্তমান।
উত্তরঃ (ক) উদ্বোধন
৮। প্রাচীনকালে ভারতবর্ষের সমস্ত বিদ্যা ছিল –
(ক) ফারসি ভাষায়
(খ) সংস্কৃত ভাষায়
(গ) মারাঠি ভাষায়
(ঘ) তামিল ভাষায়।
উত্তরঃ (খ) সংস্কৃত ভাষায়
৯। প্রাচীনকালে ভারতের সমস্ত বিদ্যা সংস্কৃত ভাষায় থাকায় কাদের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়েছিল?
(ক) বিদ্বান এবং সাধারণের মধ্যে
(খ) বিদ্বান এবং অর্বাচীনের মধ্যে
(গ) বিদ্বান এবং মূর্খের মধ্যে
(ঘ) বিদ্বান এবং বিদ্যানুরাগীর মধ্যে।
উত্তরঃ (ক) বিদ্বান এবং সাধারণের মধ্যে
১০। প্রাচীন ভারতে সংস্কৃত ভাষায় সমস্ত পঠনপাঠন হওয়ায় বিদ্বান এবং সাধারণের মধ্যে তৈরি হয়েছে –
(ক) অকুল পাথার
(খ) অথই সাগর
(গ) অপার সমুদ্র
(ঘ) অগাধ সিধু।
উত্তরঃ (গ) অপার সমুদ্র
১১। পাঠ্য প্রবন্ধ অনুযায়ী যাঁরা ‘লোকহিতায়’ এসেছেন তাঁরা হলেন-
(ক) বুদ্ধ, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ
(খ) বুদ্ধ, চৈতন্য, বিবেকানন্দ
(গ) বুদ্ধ, চৈতন্য, কবীর
(ঘ) বুদ্ধ, চৈতন্য, তুকারাম।
উত্তরঃ (ক) বুদ্ধ, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ
১২। বুদ্ধ, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ প্রমুখ মনীষী এসেছেন –
(ক) লোকহিতায়
(খ) বিঘ্নহরণে
(গ) সর্বহিতায়
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) লোকহিতায়
১৩। যেসব মনীষী ‘লোকহিতায়’ এসেছেন তাঁরা কোন্ ভাষায় শিক্ষা দিয়েছেন?
(ক) দুর্বোধ্য ভাষায়
(খ) সাধারণের ভাষায়
(গ) উচ্চবিত্তদের ভাষায়
(ঘ) রাজপরিবারের ভাষায়।
উত্তরঃ (খ) সাধারণের ভাষায়
১৪। প্রাবন্ধিকের মতে পান্ডিত্য বিষয়টি কেমন?
(ক) নিকৃষ্ট
(খ) কঠিন
(গ) উৎকৃষ্ট
(ঘ) সমৃদ্ধ।
উত্তরঃ (গ) উৎকৃষ্ট
১৫। কটমট ভাষা’ বলতে প্রাবন্ধিক বুঝিয়েছেন
(ক) যে ভাষা অপ্রাকৃতিক এবং কল্পিত
(খ) যে ভাষা অর্থবহ কিন্তু জটিল
(গ) যে ভাষা বাস্তবধর্মী এবং সহজ
(ঘ) যে ভাষা অবাস্তব এবং যুক্তিহীন।
উত্তরঃ (ক) যে ভাষা অপ্রাকৃতিক এবং কল্পিত
১৬। অপ্রাকৃতিক এবং কল্পিত ভাষাকে প্রাবন্ধিক বলেছেন
(ক) সোজাসাপটা
(খ) কিম্ভুতকিমাকার
(গ) কটমট
(ঘ) সহজসরল।
উত্তরঃ (গ) কটমট
১৭। ‘তাতে ছাড়া কে আর পান্ডিত্য হয় না?’ – এখানে কোন্ ভাষার কথা বলা হয়েছে?
(ক) অপ্রাকৃতিক এবং কল্পিত ভাষা
(খ) অর্থবহ কিন্তু জটিল ভাষা
(গ) সহজ এবং সাবলীল ভাষা
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) অপ্রাকৃতিক এবং কল্পিত ভাষা
১৮। মনে মনে ‘পান্ডিত্য গবেষণা’ করার সময় কোন্ ভাষার ব্যবহার করা হয়?
(ক) পথচলতি ভাষা
(খ) ঘরে কথা বলার ভাষা
(গ) কর্মক্ষেত্রের ভাষা
(ঘ) কঠিন ভাষা।
উত্তরঃ (খ) ঘরে কথা বলার ভাষা
১৯। প্রাবন্ধিক কোন্ ভাষাকে ‘কিম্ভূতকিমাকার’ বলেছেন?
(ক) লেখার ভাষাকে
(খ) কথা বলার ভাষাকে
(গ) সহজসরল ভাষাকে
(ঘ) প্রাকৃতিক ভাষাকে।
উত্তরঃ (ক) লেখার ভাষাকে
২০। লেখার উপযুক্ত ভাষা সেটাই, যার মাধ্যমে আমরা –
(ক) মনের ভাব সহজে প্রকাশ করি
(খ) জটিল শব্দ ব্যবহার করে বাক্যকে সুন্দর করে তুলতে পারি
(গ) অপ্রাকৃতিক ভাষার দ্বারা বই লিখতে পারি
(ঘ) সংস্কৃত ভাষার কাছাকাছি পৌঁছোতে পারি।
উত্তরঃ (ক) মনের ভাব সহজে প্রকাশ করি
২১। ক্রোধ, দুঃখ, ভালোবাসা জানানোর ভাষাকে প্রাবন্ধিক কী বলে চিহ্নিত করেছেন?
(ক) অপ্রাকৃতিক, কল্পিত ভাষা
(খ) কিম্ভুতকিমাকার ভাষা
(গ) অস্বাভাবিক ভাষা
(ঘ) লেখার জন্য আদর্শ ভাষা।
উত্তরঃ (ঘ) লেখার জন্য আদর্শ ভাষা।
২২। প্রাবন্ধিক কথ্য ভাষার যে দুটি বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলি হল-
(ক) ব্যাকরণ এবং শব্দভাণ্ডার
(খ) ভাব এবং ভঙ্গি
(গ) রীতিনীতি এবং রকমফের
(ঘ) জটিলতা এবং কাঠিন্য।
উত্তরঃ (খ) ভাব এবং ভঙ্গি
২৩। ভাষাকে কীসের মতো তৈরি করতে হবে?
(ক) সাফ অ্যালুমিনিয়াম
(খ) সাফ ইস্পাত
(গ) সাফ সোনা
(ঘ) সাফ লোহা।
উত্তরঃ (খ) সাফ ইস্পাত
২৪। ‘মুচড়ে মুচড়ে যা ইচ্ছে কর’- কাকে নিয়ে যা ইচ্ছে করার কথা এখানে বলা হয়েছে?
(ক) লোহাকে
(খ) সোনাকে
(গ) ইস্পাতকে
(ঘ) তামাকে।
উত্তরঃ (গ) ইস্পাতকে
২৫। বাংলা ভাষা, সংস্কৃত ভাষার গদাইলশকরি চাল নকল করে কেমন হয়ে যাচ্ছে?
(ক) অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে
(খ) সহজবোধ্য হয়ে যাচ্ছে
(গ) বর্ণময় হয়ে যাচ্ছে
(ঘ) উৎকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উত্তরঃ (ক) অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে
২৬। সংস্কৃত ভাষার গদাইলশকরি চাল নকল করে কোন্ ভাষা অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে?
(ক) কথ্য বাংলা ভাষা
(খ) লেখ্য বাংলা ভাষা
(গ) চলিত গদ্য ভাষা
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (খ) লেখ্য বাংলা ভাষা
২৭। প্রাবন্ধিকের মতে উন্নতির প্রধান উপায় এবং লক্ষণ হল-
(ক) ভাষা
(খ) অর্থ
(গ) সংস্কার
(ঘ) শিক্ষা।
উত্তরঃ (ক) ভাষা
২৮। স্বামীজি সংস্কৃত ভাষার ভাবভঙ্গিকে কী বলেছেন?
(ক) গদাইলশকরি চাল
(খ) দুলকি চাল
(গ) রাজকীয় চাল
(ঘ) সাবেকি চাল।
উত্তরঃ (ক) গদাইলশকরি চাল
২৯। ‘বাঙ্গালা দেশের স্থানে স্থানে রকমারি ভাষা, কোনটি গ্রহণ করব?
(ক) চলিত ভাষা
(খ) মান্য চলিত ভাষা
(গ) কথ্য ভাষা
(ঘ) কলকেতার ভাষা।
উত্তরঃ (ঘ) কলকেতার ভাষা।
৩০। কলকাতার ভাষা কী রূপে বলবান হচ্ছে বলে প্রাবন্ধিক মনে করেছেন?
(ক) অদ্ভুত নিয়মে
(খ) প্রাকৃতিক নিয়মে
(গ) অস্বাভাবিক নিয়মে
(ঘ) চিরাচরিত নিয়মে।
উত্তরঃ (খ) প্রাকৃতিক নিয়মে
৩১। প্রাকৃতিক নিয়মে কী বলবান হচ্ছে?
(ক) দিল্লির ভাষা
(খ) বৈদ্যনাথের ভাষা
(গ) চট্টগ্রামের ভাষা
(ঘ) কলকেতার ভাষা।
উত্তরঃ (ঘ) কলকেতার ভাষা
৩২। ‘যেদিক হতেই আসুক না’, – এখানে কোন্ দুটি দিকের কথা প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন?
(ক) উত্তর-দক্ষিণ
(খ) পূর্ব-পশ্চিম
(গ) দক্ষিণ-পশ্চিম
(ঘ) উত্তর-পূর্ব।
উত্তরঃ (খ) পূর্ব-পশ্চিম
৩৩। একবার ‘কলকেতার হাওয়া’ খেলেই লোকজন কী করে?
(ক) কলকাতার ভাষাতেই কথা বলে
(খ) কলকাতার ভাষাকে এড়িয়ে চলে
(গ) কলকাতার ভাষার সঙ্গে নিজের ভাষাকে মিলিয়ে এক মিশ্র ভাষার সৃষ্টি করে
(ঘ) কলকাতার ভাষাকে ভুলে যায়।
উত্তরঃ (ক) কলকাতার ভাষাতেই কথা বলে
৩৪। প্রাবন্ধিকের মতে কোন্ ভাষায় লিখতে হবে তা কে দেখিয়ে দিচ্ছে?
(ক) মানুষ
(খ) প্রকৃতি
(গ) প্রশাসন
(ঘ) সমাজ।
উত্তরঃ (খ) প্রকৃতি
৩৫। প্রকৃতি নিজে থেকেই কী দেখিয়ে দিচ্ছে?
(ক) কোন্ ভাষাকে ভুলতে হবে
(খ) কোন্ ভাষাতে লিখতে হবে
(গ) কোন্ ভাষায় সংগীতচর্চা করতে হবে
(ঘ) কীভাবে সংস্কৃত ভাষাকে অনুকরণ করতে হবে।
উত্তরঃ (খ) কোন্ ভাষাতে লিখতে হবে
৩৬। রেল এবং গতাগতির সুবিধা হলে কী হবে?
(ক) পূর্ব-পশ্চিমী ভেদ উঠে যাবে
(খ) উত্তর-পশ্চিমী ভেদ উঠে যাবে
(গ) উত্তর-পূর্ব ভেদ উঠে যাবে
(ঘ) দক্ষিণ-পূর্ব ভেদ উঠে যাবে।
উত্তরঃ (ক) পূর্ব-পশ্চিমী ভেদ উঠে যাবে
৩৭। পূর্ব-পশ্চিমী ভেদ উঠে যাবে যখন –
(ক) বাংলা ভাষা সংস্কৃত ভাষার অনুকরণ করা ছেড়ে দেবে
(খ) রেল এবং গতাগতির সুবিধা হবে
(গ) বাংলা ভাষার লেখ্য রূপ, কথ্য রূপের মতো সহজ হবে
(ঘ) বইয়ের ভাষা আর ঘরে কথা বলার ভাষা এক হয়ে যাবে।
উত্তরঃ (খ) রেল এবং গতাগতির সুবিধা হবে
৩৮। প্রাবন্ধিকের মতে ‘কলকেতার ভাষা’ বিস্তৃত হবে –
(ক) চট্টগ্রাম থেকে বৈদ্যনাথ পর্যন্ত
(খ) সপ্তগ্রাম থেকে বৈদ্যবাটি পর্যন্ত
(গ) পঞ্চগ্রাম থেকে বৈদ্যনাথ পর্যন্ত
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) চট্টগ্রাম থেকে বৈদ্যনাথ পর্যন্ত
৩৯। চট্টগ্রাম থেকে বৈদ্যনাথ পর্যন্ত কোন্ ভাষা চলবে?
(ক) সংস্কৃত ভাষা
(খ) সাধু বাংলা ভাষা
(গ) কলকেতার ভাষা
(ঘ) চট্টগ্রামের ভাষা।
উত্তরঃ (গ) কলকেতার ভাষা
৪০। অল্প দিনে ‘সমস্ত বাঙ্গালা দেশের ভাষা’ হয়ে যাবে –
(ক) চট্টগ্রামের ভাষা
(খ) সংস্কৃত ভাষা
(গ) কলকেতার ভাষা
(ঘ) বৈদ্যনাথের ভাষা।
উত্তরঃ (গ) কলকেতার ভাষা
৪১। কলকেতার ভাষা অল্প দিনেই কী হয়ে যাবে বলে প্রাবন্ধিক জানিয়েছেন?
(ক) সমগ্র বাঙ্গালা দেশের ভাষা হয়ে যাবে
(খ) সমগ্র চট্টগ্রামের ভাষা হয়ে যাবে
(গ) সমগ্র বৈদ্যনাথের ভাষা হয়ে যাবে
(ঘ) সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের ভাষা হয়ে যাবে।
উত্তরঃ (ক) সমগ্র বাঙ্গালা দেশের ভাষা হয়ে যাবে
৪২। কলকেতার ভাষাকে ভিত্তি স্বরূপ গ্রহণ করবেন যিনি, তিনি –
(ক) চালাক
(খ) চতুর
(গ) বুদ্ধিমান
(ঘ) বিদ্বান।
উত্তরঃ (গ) বুদ্ধিমান
৪৩। পুস্তকের ভাষা আর ঘরে কথা বলার ভাষাকে এক করার জন্য কোন্ ভাষাকে ভিত্তি স্বরূপ গ্রহণ করতে হবে?
(ক) কলকেতার ভাষা
(খ) সংস্কৃত ভাষা
(গ) চট্টগ্রামের ভাষা
(ঘ) বৈদ্যনাথের ভাষা।
উত্তরঃ (ক) কলকেতার ভাষা
৪৪। বুদ্ধিমান কলকাতার ভাষাকেই কেন ভিত্তি স্বরূপ গ্রহণ করবেন?
(ক) কলকাতার ভাষাই সমগ্র বাংলায় মান্য ভাষায় পরিণত হচ্ছে।
(খ) কলকাতার ভাষাই সরকারি ভাষা
(গ) কলকাতার ভাষা সংস্কৃতভাষা-জাত
(ঘ) উপরোক্ত সবকটি।
উত্তরঃ (ক) কলকাতার ভাষাই সমগ্র বাংলায় মান্য ভাষায় পরিণত হচ্ছে।
৪৫। বুদ্ধিমান কীভাবে কলকেতার ভাষাকে গ্রহণ করবেন?
(ক) কারণ স্বরূপ
(খ) ভিত্তি স্বরূপ
(গ) ফল স্বরূপ
(ঘ) উদাহরণ স্বরূপ।
উত্তরঃ (খ) ভিত্তি স্বরূপ
৪৬। সমগ্র দেশের কল্যাণের জন্য কোন্ জিনিসকে প্রাবন্ধিক জলে ভাসান দিতে বলেছেন?
(ক) গ্রাম্য ঈর্ষাকে
(খ) গ্রাম্য সৌন্দর্যবোধকে
(গ) গ্রাম্য শিল্পকে
(ঘ) গ্রাম্য প্রকৃতিকে।
উত্তরঃ (ক) গ্রাম্য ঈর্ষাকে
৪৭। আলোচ্য প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক গ্রাম্য ঈর্ষাকে কী করার উপদেশ দিয়েছেন?
(ক) পরিত্যাগ করতে হবে
(খ) জলে ভাসান দিতে হবে
(গ) গ্রহণ করতে হবে
(ঘ) পরিচর্যা করতে হবে।
উত্তরঃ (খ) জলে ভাসান দিতে হবে
৪৮। সমগ্র দেশের কল্যাণের জন্য যা করতে হবে, তা হল –
(ক) জেলা বা গ্রামের ভাষার প্রাধান্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে
(খ) সর্বত্র সংস্কৃত ভাষার প্রচলন করতে হবে
(গ) জেলা বা গ্রামের ভাষার প্রাধান্যকে ভুলে যেতে হবে
(ঘ) কলকাতার বাংলা ভাষাকে পরিত্যাগ করতে হবে।
উত্তরঃ (গ) জেলা বা গ্রামের ভাষার প্রাধান্যকে ভুলে যেতে হবে
৪৯। জেলা বা গ্রামের প্রাধান্যকে ভুলে যেতে হবে কী কারণে?
(ক) সংস্কৃত ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য
(খ) সমগ্র দেশের কল্যাণের জন্য
(গ) গ্রাম্য ঈর্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য
(ঘ) রেল ও গতাগতির সুবিধালাভের জন্য।
উত্তরঃ (খ) সমগ্র দেশের কল্যাণের জন্য
৫০। ভাবের বাহক হল –
(ক) ভাষা
(খ) শিক্ষা
(গ) চিন্তা
(ঘ) সংস্কৃতি।
উত্তরঃ (ক) ভাষা
৫১। প্রাবন্ধিক ঘোড়ার কীরূপ সাজসজ্জার কথা লিখেছেন?
(ক) সোনা-রূপার সাজ
(খ) হীরেমতির সাজ
(গ) শোলার সাজ
(ঘ) ফুলের সাজ।
উত্তরঃ (খ) হীরেমতির সাজ
৫২। প্রবন্ধ অনুসারে কে হীরেমতির সাজ পরেছে?
(ক) ঘোড়া
(খ) হাতি
(গ) গাধা
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) ঘোড়া
৫৩। আলোচ্য প্রবন্ধে ‘হীরেমতির সাজ-পরানো ঘোড়ার উপর বাঁদর’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) ভাষার আভিজাত্য
(খ) ভাষা ও ভাবের পরিপূর্ণতা
(গ) ভাষা ও ভাবের সামঞ্জস্যহীনতা
(ঘ) মূর্খতা।
উত্তরঃ (গ) ভাষা ও ভাবের সামঞ্জস্যহীনতা
৫৪। হীরেমতির সাজ পরানো ঘোড়ার উপর ব্যাঙ্গার্থে কোন্ প্রাণীর বসার কথা বলা হয়েছে?
(ক) হনুমান
(খ) বাঁদর
(গ) বাদুড়
(ঘ) ইঁদুর।
উত্তরঃ (খ) বাঁদর
৫৫। ‘মহাভাষ্য’ কার লেখা?
(ক) পতঞ্জলি
(খ) পাণিনি
(গ) শবরস্বামী
(ঘ) শঙ্করাচার্য।
উত্তরঃ (ক) পতঞ্জলি
৫৬। শবরস্বামী কী লিখেছেন?
(ক) মহাভাষ্য
(খ) মীমাংসাভাষ্য
(গ) ন্যায়ভাষ্য
(ঘ) শারীরকভাষ্য।
উত্তরঃ (খ) মীমাংসাভাষ্য
৫৭। পতঞ্জলি কী লিখেছেন?
(ক) মহাভাষ্য
(খ) মীমাংসাভাষ্য
(গ) ন্যায়ভাষ্য
(ঘ) শারীরকভাষ্য।
উত্তরঃ (ক) মহাভাষ্য
৫৮। যখন মানুষ বেঁচে থাকে তখন সে কী করে বলে প্রাবন্ধিক মনে করেছেন?
(ক) সাধারণ ভাষায় কথা বলে
(খ) জীবন্ত ভাষায় কথা বলে
(গ) সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে
(ঘ) জটিল ভাষায় কথা বলে।
উত্তরঃ (খ) জীবন্ত ভাষায় কথা বলে
৫৯। মানুষ জ্যান্ত ভাষায় তখন কথা বলে, যখন সে –
(ক) বেঁচে থাকে
(খ) হাসিখুশি থাকে
(গ) অসুস্থ থাকে
(ঘ) চিন্তা করে।
উত্তরঃ (ক) বেঁচে থাকে
৬০। মরণ নিকট হলে মানুষের কী ক্ষয় হয়?
(ক) মেধাশক্তির
(খ) চিন্তাশক্তির
(গ) দৈহিক শক্তির
(ঘ) মানসিক শক্তির।
উত্তরঃ (খ) চিন্তাশক্তির
৬১। মৃত্যু নিকটে এলে বা চিন্তাশক্তির ক্ষয় হলে দু-একটা পচা ভাব ছাপাবার চেষ্টা করা হয় কীসের মাধ্যমে?
(ক) সহজসরল গল্পের মাধ্যমে
(খ) বিনামূল্যে
(গ) রাশিকৃত ফুল-চন্দন দিয়ে
(ঘ) অল্পমূল্যে।
উত্তরঃ (গ) রাশিকৃত ফুল-চন্দন দিয়ে
৬২। ‘বাঙ্গালা ভাষা’ প্রবন্ধে ‘রাজা আসীৎ’-এই কথার পূর্বে সুদীর্ঘ বিশেষণ কত পাতা জুড়ে রয়েছে বলে আমরা জানতে পারি?
(ক) আট পাতা
(খ) নয় পাতা
(গ) দশ পাতা
(ঘ) এগারো পাতা।
উত্তরঃ (গ) দশ পাতা
৬৩। ‘রাজা আসীৎ’ সম্পর্কে দশপাতা জুড়ে কোন্ বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে?
(ক) বিশেষণ
(খ) সমাস
(গ) শ্লেষ
(ঘ) অব্যয়।
উত্তরঃ (ক) বিশেষণ
৬৪। দশপাতা লম্বা লম্বা বিশেষণের পর দুম করে কী লেখা হয়েছিল?
(ক) রাজা অস্তু
(খ) রাজা আসীৎ
(গ) রাজা অস্তি
(ঘ) রাজা ছিলেন।
উত্তরঃ (খ) রাজা আসীৎ
৬৫। ‘রাজা আসীৎ’ শব্দের অর্থ হল-
(ক) রাজা হলেন
(খ) রাজা থাকেন
(গ) রাজা হবেন
(ঘ) রাজা ছিলেন।
উত্তরঃ (ঘ) রাজা ছিলেন।
৬৬। শ্লেষ হল-
(ক) শব্দালংকার
(খ) অর্থালংকার
(গ) গূঢ়ার্থ
(ঘ) সমাপ্তি।
উত্তরঃ (ক) শব্দালংকার
৬৭। ‘প্যাঁচওয়া’ শব্দটি কোন বিষয়ে প্রয়োগ করা হয়েছে?
(ক) সমাস
(খ) বিশেষণ
(গ) শ্লেষ
(ঘ) রাজা আসন।
উত্তরঃ (খ) বিশেষণ
৬৮। ‘তখন এই সব চিহ্ন উদয় হল’- কখন?
(ক) যখন দেশ ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করল
(খ) যখন দেশ উন্নত হতে শুরু করল
(গ) যখন দেশে অবক্ষয় দেখা দিল
(ঘ) যখন দেশটা উৎসন্নে যেতে আরম্ভ হল।
উত্তরঃ (ঘ) যখন দেশটা উৎসন্নে যেতে আরম্ভ হল।
৬৯। ‘ওটি শুধু ভাষায় নয়…’- ‘মরার লক্ষণ’ ভাষা ছাড়াও আর যে মাধ্যমে এল-
(ক) সকল শিল্পে
(খ) সমগ্র সংস্কৃতিতে
(গ) সার্বিক সমাজে
(ঘ) রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে।
উত্তরঃ (ক) সকল শিল্পে
৭০। বাড়ির কোন্ অংশকে ‘কুঁদে কুঁদে সারা’ করে দেওয়ার কথা লিখেছেন প্রাবন্ধিক?
(ক) দরজাগুলোকে
(খ) থামগুলোকে
(গ) জানলাগুলোকে
(ঘ) দেয়ালগুলোকে।
উত্তরঃ (খ) থামগুলোকে
৭১। গয়নাটা নাক কুঁড়ে ঘাড় ফুঁড়ে প্রবেশ করে কোন্ রাক্ষসীতে রূপান্তরিত করেছে?
(ক) তাড়কা রাক্ষসী
(খ) পুতনা রাক্ষসী
(গ) ব্রাহ্মরাক্ষসী
(ঘ) সরমা রাক্ষসী।
উত্তরঃ (গ) ব্রাহ্মরাক্ষসী
৭২। গয়নায় কী ধরনের নকশার আধিক্যের কথা প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন?
(ক) লতা-পাতা চিত্র-বিচিত্র
(খ) মণি-মাণিক্যের
(গ) ফুল-ফল চিত্র-বিচিত্র
(ঘ) হীরে-জহরৎ-এর।
উত্তরঃ (ক) লতা-পাতা চিত্র-বিচিত্র
৭৩। প্রাবন্ধিক গানের ব্যাপারে কোন্ দুটি বিভ্রমের কথা লিখেছেন?
(ক) কান্না, ঝগড়া
(খ) হাসি, ঝগড়া
(গ) চিৎকার, ঝগড়া
(ঘ) অট্টহাসি, ঝগড়া।
উত্তরঃ (ক) কান্না, ঝগড়া
৭৪। ধ্রুপদি সংগীতের বিভিন্ন ভাবভঙ্গিযুক্ত কঠিন গানের ভাব, উদ্দেশ্য কে বুঝতে পারেন না?
(ক) বশিষ্ঠ ঋষি
(খ) বিশ্বামিত্র ঋষি
(গ) ভরত ঋষি
(ঘ) পরাশর ঋষি।
উত্তরঃ (গ) ভরত ঋষি
৭৫। গানের মধ্যে কীসের ধুম লেগেছিল?
(ক) প্যাঁচের
(খ) সুরের
(গ) তালের
(ঘ) লয়ের।
উত্তরঃ (ক) প্যাঁচের
৭৬। ভরত ঋষির বুঝতে না পারা গানের ডামাডোলের প্রকৃতি কেমন ছিল?
(ক) সরল
(খ) আঁকাবাঁকা
(গ) জটিল
(ঘ) ঘোরালো।
উত্তরঃ (খ) আঁকাবাঁকা
৭৭। কোন্ ওস্তাদদের নকল করে কঠিন ধ্রুপদি আঁকাবাঁকা গানের আবির্ভাব ঘটেছিল?
(ক) মুসলমান ওস্তাদদের
(খ) শাস্ত্রীয় গুরুর
(গ) হিন্দু পণ্ডিতদের
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) মুসলমান ওস্তাদদের
৭৮। কী জাতীয় ভাষা, শিল্প এবং সংগীত কোনো কাজের নয়?
(ক) নিষ্প্রাণ, বৈচিত্র্যময় সংগীত
(খ) ভাবহীন, প্রাণহীন সংগীত
(গ) তরতাজা, নির্মল সংগীত
(ঘ) সহজসরল সংগীত।
উত্তরঃ (খ) ভাবহীন, প্রাণহীন সংগীত
৭৯। “ভাবহীন প্রাণহীন” – যে ভাষা, যে শিল্প, যে সংগীত তা কীভাবে কাজ করে?
(ক) তা কোনো কাজের নয়
(খ) তা সবাই ব্যবহার করে
(গ) তা নিষিদ্ধ
(ঘ) তা সহজবোধ্য।
উত্তরঃ (ক) তা কোনো কাজের নয়
৮০। প্রাবন্ধিকের মতে জাতীয় জীবনে যেরকম উৎসাহ আসবে সেরকমই ভাষা, শিল্প, সংগীত নিজে থেকেই –
(ক) প্রাণহীন, নিস্পন্দ হবে
(খ) ভাবময়, প্রাণপূর্ণ হয়ে উঠবে
(গ) নিষ্প্রাণ, ভাবহীন হবে
(ঘ) ভাবহীন, প্রাণহীন হবে।
উত্তরঃ (খ) ভাবময়, প্রাণপূর্ণ হয়ে উঠবে
৮১। স্বামী বিবেকানন্দর মতে অন্তরের প্রকাশ্য ভাবরাশি আসবে –
(ক) সাধু গদ্যে
(খ) সংস্কৃত ভাষায়
(গ) চলিত কথায়
(ঘ) প্রাচীন বাংলায়।
উত্তরঃ (গ) চলিত কথায়
৮২। ‘বাঙ্গালা ভাষা’ প্রবন্ধে কত সংখ্যক বিশেষণের কথা বলা হয়েছে?
(ক) দুই হাজার ছাঁদি
(খ) তিন হাজার ছাঁদি
(গ) এক হাজার ছাঁদি
(ঘ) পাঁচ হাজার ছাঁদি।
উত্তরঃ (ক) দুই হাজার ছাঁদি
৮৩। প্রাবন্ধিকের মতে চলিত কথায় অন্তরের ভাবরাশি প্রকাশের পর দেবতার মূর্তি দেখলে –
(ক) শ্রদ্ধা হবে
(খ) ভক্তি হবে
(গ) আনন্দ হবে
(ঘ) স্ফূর্তি হবে।
উত্তরঃ (খ) ভক্তি হবে
৮৪। প্রাবন্ধিকের মতে চলতি ভাষায় অন্তরের ভাবরাশির যথার্থ প্রকাশ হলে গহনা-পরা মেয়ে-মাত্রই যা বলে বোধ হবে
(ক) অপ্সরা
(খ) সুন্দরী
(গ) দেবী
(ঘ) ব্রহ্মরাক্ষসী।
উত্তরঃ (গ) দেবী
৮৫। চলিত কথার অধিক ব্যবহারে বাড়ি-ঘর-দোর কীসে ডগমগ করবে বলে প্রাবন্ধিক মনে করেছেন?
(ক) প্রাণস্পন্দনে
(খ) প্রাণচঞ্চলতায়
(গ) প্রাণোচ্ছলতায়
(ঘ) প্রাণপ্রাচুর্যে।
উত্তরঃ (ক) প্রাণস্পন্দনে
৮৬। ‘ডগমগ’ শব্দটির অর্থ-
(ক) শোকার্ত
(খ) দুঃখিত
(গ) ভীত
(ঘ) আনন্দিত।
উত্তরঃ (ঘ) আনন্দিত
আরও পড়ুন : আদরিণী গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর