অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও

অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও
অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও।
বাংলা ভাষায় এমন কিছু ধ্বনি উপাদান আছে যেগুলিকে বিভাজ্য ধ্বনির মতো কৃত্রিমভাবে খণ্ড করা যায় না। কেননা এইরকম উপাদানগুলি কোনো বিভাজ্য ধ্বনির অংশ নয়, বরং এগুলি একাধিক ধ্বনিখণ্ড জুড়ে অবস্থান করে। এগুলিকে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে।

নীচে কয়েকটি অবিভাজ্য ধ্বনি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল-

Table of Contents

শ্বাসাঘাত

একাধিক দলযুক্ত শব্দের কোনো একটি দলকে অপেক্ষাকৃত বেশি জোর দিয়ে উচ্চারণ করাকে বলে শ্বাসাঘাত। বাংলায় সাধারণত শব্দের প্রথম দলটিতে শ্বাসাঘাতের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে স্মরণীয়, শ্বাসাঘাতের উপস্থিতি পুরো দল জুড়ে, কোনো নির্দিষ্ট ধ্বনিতে নয়, তাই এটি অবিভাজ্য ধ্বনি।

যেমন:
‘মাখন’-মা-খন। এক্ষেত্রে ‘মা’-তে শ্বাসাঘাত পড়ে।

দৈর্ঘ্য

দলের মধ্যে স্বরধ্বনির উচ্চারণ দৈর্ঘ্যকেই বলে দৈর্ঘ্য। বাংলায় বহুদল শব্দের স্বরধ্বনির তুলনায় একদল শব্দের স্বরধ্বনির দৈর্ঘ্য বেশি। ফলে একদল শব্দের দৈর্ঘ্যও বেশি।

যেমন: ‘আমার’ শব্দের [আ]-এর চেয়ে ‘আম’ শব্দের [আ] বেশি দীর্ঘ।

যতি

যতি হল দল বা শব্দসীমায় অপেক্ষাকৃত লম্বা ছেদ।

যেমন:
(ক) মনোর মাকে ডেকে দাও। (খ) মনোরমাকে ডেকে দাও।

সুরতরঙ্গ

বাক্যে সুরের ওঠাপড়াকে সুরতরঙ্গ বলে। 
যেমন: আমি কলকাতা যাবো। (বিবৃতি বাক্যে) তুমি কি যাবে? (প্রশ্নবোধক বাক্যে)

Leave a Comment