![]() |
চিনে ৪ মে (May Fourth)-র আন্দোলনের কারণগুলি বিশ্লেষণ করো। |
চিনে ৪ যে আন্দোলনের কারণসমূহ
রাষ্ট্রপতি ইউয়ান-সি-কাই-এর নির্মমতা: চিনের রাষ্ট্রপতি সান ইয়াৎ-সেন-এর পদত্যাগের পর ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ইউয়ান-সি-কাই চিনে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং চিনে বিদেশিদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা দিতে থাকেন। একে একে বিরোধীদের হত্যা করা হয়। ফলে বিপ্লবের শত্রুতে পরিণত হন তিনি।
কুয়োমিনতাং দলকে নিষিদ্ধকরণ: ইউয়ান-সি-কাইয়ের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কুয়োমিনতাং দল ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী আন্দোলনের ডাক দিলে ইউয়ান-এর বাহিনী নির্মম দমননীতির আশ্রয় নেয় ও কুয়োমিনতাং দলকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে।
একুশ দফা দাবির প্রতিবাদ: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে জাপান চিনের উপর ২১টি অন্যায় দাবি (১৯১৮ খ্রি.) পেশ করে। চিনের পক্ষে এই দাবি মেনে নেওয়া ছিল অসম্ভব। একুশ দফা দাবির বিরোধিতায় চিনে বিভিন্ন সমিতি (যেমন- নাগরিক দেশপ্রেমী সমিতি) গড়ে ওঠে। বিভিন্ন সংবাদপত্রগুলি নিয়মিতভাবে জাপানি আগ্রাসনের কথা ছাপাতে থাকে।
জাপানের সঙ্গে গোপন চুক্তি: ইউয়ান-সি-কাই চিনের সম্রাট হওয়ার উদ্দেশ্যে জাপানের সঙ্গে এক গোপন চুক্তি করেন এবং জাপানের দাবিগুলি মেনে নেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি তিনি সম্রাট পদে অভিষিক্ত হয়ে বিদেশি পণ্য বয়কট আন্দোলন তুলে নিলে চিনা জনগণের মধ্যে অসন্তোষ পুঞ্জীভূত হয়।
বৈদেশিক পণ্যের বাজার: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে চিনে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি পণ্যের আমদানি হতে থাকে। এর ফলে চিনে নবপ্রতিষ্ঠিত দেশজ শিল্পগুলি এই অসম প্রতিযোগিতায় মুখ থুবড়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষ কারণ: প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রপক্ষে যোগদানকারী চিন ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের প্যারিস সম্মেলনে জাপানের কর্তৃত্বের অবসানের কথা জানালে তা উপেক্ষিত হয়।