টীকা লেখো: পোল-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি (১৯৩৪ খ্রি.)

টীকা লেখো: পোল-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি (১৯৩৪ খ্রি.)
টীকা লেখো: পোল-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি (১৯৩৪ খ্রি.)
ভার্সাই সন্ধির (১৯১৯ খ্রি.) মাধ্যমে জার্মানির কিছু অংশ নিয়ে পোল্যান্ড রাষ্ট্র পুনর্গঠন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই পোল্যান্ডের সঙ্গে জার্মানির মনোমালিন্য শুরু। কিন্তু পরবর্তীতে পারস্পরিক প্রয়োজনেই উভয় শক্তি কাছাকাছি এসেছিল-যার ফলশ্রুতি পোল-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি।

পোল-জার্মান চুক্তির প্রেক্ষাপট

ভার্সাই চুক্তি ও পোল্যান্ডের পুনর্গঠন: ভার্সাই সন্ধিতে পোজেন, পশ্চিম প্রাশিয়া, ডানজিগ বন্দর ও জার্মানির এক সংকীর্ণ ভূখণ্ড (পোলিশ করিডর) পোল্যান্ডকে দিয়ে পোল্যান্ডের পুনর্গঠন করা হয়েছিল।

চুক্তি স্বাক্ষর: পোল্যান্ড ছিল ফ্রান্সের বন্ধুদেশ ও সাম্যবাদী রুশ বিরোধী। তাই পোল্যান্ডের সঙ্গে মৈত্রী গড়ে তুলে ফ্রান্সকে মিত্রহীন করার জন্য জার্মানি পোল্যান্ডের সঙ্গে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে (জানুয়ারি) ১০ বছরের জন্য পোল-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর করে।

চুক্তি স্বাক্ষরের গুরুত্ব:
জার্মানি ও পোল্যান্ড পারস্পরিক স্বার্থেই এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। (১) পরস্পরের বিরোধ শক্তিপূর্ণ উপায়ে মিটিয়ে নেওয়া হবে (২) জার্মানির বিরুদ্ধে ফ্রান্স-পোল্যান্ড জোট ভেঙে যায় (৩) জার্মানির কাছ থেকে অনাক্রমণের প্রতিশ্রুতি পেয়ে পোল্যান্ড ফ্রান্সের ওপর নির্ভরশীলতা ত্যাগ করে (৪) ফ্রান্সের ক্ষমতা কমে যায়।

পোল-জার্মান চুক্তি ছিল হিটলারের ‘পাশবিক কূটনীতির’ (Brutal dipolmacy) এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। হিটলার এই চুক্তির সুবাদে পোল্যান্ডের কাছে ডানডিগ ও পোলিশ করিডর দাবি করলে পোল্যান্ড হিটলারের দাবি নাকচ করে দেয়। অতঃপর হিটলার চুক্তির বিশ্বাসঘাতকতা করে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে (সেপ্টেম্বর) পোল্যান্ড আক্রমণ করেন-যার ফলশ্রুতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

Leave a Comment