টীকা লেখো : লেনিনগ্রাডের লড়াই

টীকা লেখো : লেনিনগ্রাডের লড়াই
টীকা লেখো : লেনিনগ্রাডের লড়াই।
হিটলারের রাশিয়া আক্রমণের উল্লেখযোগ্য একটি দিক ছিল লেনিনগ্রাডের লড়াই। জার্মান আক্রমণে লেনিনগ্রাড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রুশ বাহিনী জাত্যাভিমানে উদ্দীপ্ত হয়ে জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন মরণ সংগ্রামে শামিল হয়। লেনিনগ্রাড লড়াই এ নেতৃত্বে দেন জার্মান সেনাপতি ক্লেব।

রাশিয়া আক্রমণ

জার্মান বাহিনীকে তিনভাগে বিভক্ত করে লেনিনগ্রাড, মস্কো ও স্ট্যালিনগ্রাদে আক্রমণ চালানো হয়। উত্তরে বাল্টিক থেকে দক্ষিণে কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলতে থাকে। জার্মান বাহিনী প্রাথমিক পর্বে ব্যাপক সাফল্য পায় এবং প্রথম ৫ মাসের মধ্যেই রাশিয়ার প্রায় ৮ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে। জার্মান বাহিনী ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে লেনিনগ্রাড অবরোধ করে মস্কোর কাছাকাছি চলে আসে। লেনিনগ্রাডের সঙ্গে রাশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

রুশ প্রতিরোধ

পোড়ামাটি নীতি : পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করে সমস্ত ঘরবাড়ি, খাদ্য শস্য পুড়িয়ে দিয়ে, জলে বিষ মিশিয়ে রুশ বাহিনী পিছিয়ে যেতে থাকে। ফলে রাশিয়ার অভ্যন্তরে জার্মান সেনার রসদে টান পড়ে।

শীত ও খাদ্যাভাব :
প্রচণ্ড শীতের কামড় ও খাদ্যের অভাবে জার্মান সেনা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

রুশ গেরিলা আক্রমণ: ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে রুশ সেনাপতি মার্শাল ঝুকভ নাতসি বাহিনীর ওপর গেরিলা আক্রমণ শুরু করে। এর ফলে নাতসি বাহিনী দিশেহারা হয়ে যায় এবং পিছু হঠতে বাধ্য হয়।

অবরোধ মুক্ত লেনিনগ্রাড: লেনিনগ্রাডের ৩০ লক্ষ জনগণ ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে রত হয়ে সোভিয়েত বাহিনীর সাহায্যে মহান দেশ প্রেমের যুদ্ধ শুরু করে এবং লেনিনগ্রাডকে অবরোধ মুক্ত করে। অবরোধ মুক্ত হলে লেনিনগ্রাডের ৩০ লক্ষ জনগণের মধ্যে মাত্র ৬ লক্ষ জীবিত ছিলেন।

লেনিনগ্রাডের অবরোধ ছিল ইতিহাসের দীর্ঘদিন ব্যাপী চলা এক ধ্বংসাত্মক অবরোধ। এই অবরোধের ফলে রাশিয়া অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

Leave a Comment