‘দ্বি-দলের মৃণালে/সোনার মানুষ উজ্জ্বলে’-অংশটির তাৎপর্য লেখো

অংশটি বাউল কবি ‘লালন শাহ ফকিরের গান’ কবিতার অন্তর্গত। কবি অংশটি মাধ্যমে বাউলদের গুহ্যতত্ত্ব, দেহতত্ত্ববাদের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। বাউল সাধকরা মনে করেন মানবদেহে সাতটি চক্রের অবস্থান-(১) মূলাধার চক্র (জনন ইন্দ্রিয়ে অবস্থিত) (২) স্বাধিস্তান চক্র (নাভির নীচে বা তলপেটে) (৩) মণিপুরা চক্র (নাভিস্থানে) (৪) অনাহতচক্র (বুকে বা হৃদয়ে) (৫) বিশুদ্ধ চক্র (গলা বা কণ্ঠে), (৬) অজ্ঞান চক্র বা দ্বি-দল (কপালে বা দুই ভু-মাঝে) এবং সহস্রার চক্র (মস্তিষ্কে)। এই সাত চক্র মৃণাল বা পদ্মের ডাঁটা রূপ সুষুয়ানাড়ির সঙ্গে। তাই কবি লালন বলেছেন প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারলেই মনের মানুষ বা পরমাত্মা এই অজ্ঞানচক্রে বা দ্বিদলে অবস্থান করে তাঁর সান্নিধ্যলাভ করা যায়। আর তার ফলে মানুষ এক মহিমান্বিত আধ্যাত্মিক স্তরে উপনীত হয়।

Leave a Comment