![]() |
নির্বাণের স্বরূপ কী তা সংক্ষেপে উল্লেখ করো |
নির্বাণের স্বরূপ
দুঃখের আত্যন্তিক নিবৃত্তি তথা নির্বাণের প্রকৃতি সম্পর্কে বৌদ্ধ দার্শনিকের মধ্যেও মতভেদ দেখা যায়। কোনো কোনো সম্প্রদায় নির্বাণকে ভাববাচক তথা ইতিবাচকরূপে উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ কেউ নির্বাণকে অভাববাচক তথা নেতিবাচকরূপে বর্ণনা করেছেন। বৈভাষিক সম্প্রদায় এবং নাগসেন ও অশ্বঘোষ প্রমুখ নির্বাণকে ইতিবাচকরূপে অভিহিত করেছেন। অপরদিকে, সৌত্রান্তিক সম্প্রদায় নির্বাণকে নেতিবাচক তথা অভাববাচকরূপে উল্লেখ করেছেন। আবার নাগার্জুন নির্বাণকে সদসগ্রুপে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, নির্বাণ ভাবাত্মকও হতে পারে না, আবার অভাববাত্মকও হতে পারে না। চিন্তার কোনো কোটির মাধ্যমেই নির্বাণকে ব্যাখ্যা করা যায় না বলে, নির্বাণকে বলা হয় চতুষ্কোটি বিনির্মুক্তি। যাই হোক না কেন, নির্বাণ যে দুঃখ মুক্ত এক অবস্থা-তাতে কোনো সন্দেহই নেই। ধম্মপদে তাই বলা হয়েছে-নির্বাণং পরমং সুখম্-নির্বাণই হল পরম সুখ, তথা দুঃখের আত্যন্তিক নিবৃত্তি।