পাঠ্য ‘লালন শাহ ফকিরের গান’ কবিতায় কবি লালন বাউল একদিকে বাউল ধর্ম-দর্শন ভক্তিবাদ এবং মানবতাবাদকে যেমন এনেছেন, তেমনই বাউলদের কায়া-সাধনা বা দেহতত্ত্ববাদের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন। কবির মতে মানুষ যে পরমাত্মা বা মনের মানুষের সান্নিধ্যলাভের চেষ্টা করে, তার জন্য দরকার মানবভজনা। তাই কবি মানবসেবা বা ভজনার মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠে পরমাত্মার সান্নিধ্যলাভের কথা বলেছেন। বাউলরা বিশ্বাস করেন, মনের মানুষ রয়েছেন মানুষের হৃদয়মন্দিরে। এই মনের মানুষের সান্নিধ্যলাভ করেই মানুষ উন্নীত হয় এক মহিমান্বিত আধ্যাত্মিক স্তরে।