প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে পার্থক্যগুলি কী কী – আজকের পর্বে প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে পার্থক্যগুলি কী কী তা আলোচনা করা হল।
প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে পার্থক্যগুলি কী কী
![]() |
প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে পার্থক্যগুলি কী কী |
ষোড়শ শতাব্দীতে মার্টিন লুথারের নেতৃত্বে শুরু হওয়া প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলন ক্যাথোলিক চার্চের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই আন্দোলনের ফলে খ্রিস্টান ধর্মের মধ্যে নতুন নতুন শাখার উত্থান ঘটে। প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে।
মূল শাখা ‘লুথারান’
লুথারানরা মার্টিন লুথারের ধারণা অনুসরণ করে। তারা পাপ থেকে মুক্তি ঈশ্বরের অনুগ্রহের উপর নির্ভরশীল বলে বিশ্বাস করে। লুথারানরা বিশ্বাস করে যে, বাইবেল হল একমাত্র ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এবং পুরোহিতদের বিশেষ ক্ষমতা নেই।
ক্যালভিনিস্ট
ক্যালভিনিস্টরা জন ক্যালভিনের ধারণা অনুসরণ করে। তারা পূর্বনির্ধারণের ধারণায় বিশ্বাস করে, যার অর্থ ঈশ্বর ইতিমধ্যেই স্থির করেছেন কে স্বর্গে যাবে এবং কে নরকে যাবে। ক্যালভিনিস্টরা বিশ্বাস করে যে, খ্রিস্টানদের জীবনধারা নৈতিক ও সরল হওয়া উচিত।
অ্যাংলিকান
অ্যাংলিকানরা ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত। তারা ক্যাথোলিক চার্চের কর্তৃত্ব থেকে মুক্তি চেয়েছিল, কিন্তু অনেক ক্যাথোলিক রীতিনীতি ধরে রেখেছিল। অ্যাংলিকনরা বিশ্বাস করে যে, রাজা হলো গির্জার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।
প্রেসবিটেরিয়ান
প্রেসবিটেরিয়ানরা বিশ্বাস করেন যে গির্জা পরিচালনার জন্য নির্বাচিত প্রেসবিটারদের (বয়স্ক) একটি
ডামেনোনাইট
মেনোনাইটরা সহিংসতা ও রাষ্ট্রের কর্তৃত্বের বিরোধিতা করে। তারা সাধারণ জীবনযাবপ করে এবং ধর্মীয় বিষয়ে রক্ষণশীল।
কোয়েকার
কোয়েকাররা বিশ্বাস করে যে প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে ঈশ্বরের আলো বিদ্যমান। তারা ধর্মীয় রীতিনীতি ও পুরোহিতদের বিরোধিতা করে।
উপসংহার
প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্যগুলি ধর্মীয় বিশ্বাস, রীতিনীতি এবং গির্জার পরিচালনার ক্ষেত্রে দেখা যায়। ঐতিহাসিক রিচার্ড ট্রেসেলের মতে, “প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলন খ্রিস্টান ধর্মের মধ্যে বৈচিত্র্যের একটি নতুন যুগের সূচনা করে।”