![]() |
বাংলা গানের ধারায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। |
উত্তরাধিকার
বাংলা গানের সমৃদ্ধিতে অবদান
দ্বিজেন্দ্রলাল রাগসংগীতের প্রেরণা পিতার কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তবে ভাগলপুরে থাকার সময় আত্মীয় সুরেন্দ্রনাথের খেয়ালশৈলীর সঙ্গে টপ্পা গানের মিশ্রণে সৃষ্ট টপখেয়ালের সুরচাতুর্য ও অভিনবত্বে তিনি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন। বিলেতে প্রবাসকালে দ্বিজেন্দ্রলাল পাশ্চাত্য সংগীতের প্রতি আগ্রহবশত কয়েকজনের কাছে পাশ্চাত্য সংগীতেরও শিক্ষা নেন। রবীন্দ্রনাথের মতো তিনিও স্কচ, আইরিশ ও ইংরেজি গানের সুর বাংলায় প্রয়োগ করেন। এভাবেই অসামান্য প্রতিভাবলে তিনি সংগীতের উভয় ধারার প্রয়োগেই সাফল্য লাভ করেছিলেন। তাঁর গানে ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা, বাউল, কীর্তন, বৈঠকি, স্বদেশি, হাসির গান, প্যারোডি প্রভৃতি সংগীতের বিচিত্র ও বহুমুখী শাখায় ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য সংগীতের মিলন লক্ষ করা যায়। ‘এস প্রাণ সখা এস প্রাণে’, ‘পতিতোদ্ধারিণী গঙ্গে’ প্রভৃতি গানগুলিতে সংস্কৃত ছন্দের প্রভাব লক্ষণীয়।
এ ছাড়া রাগরাগিণী ও লোকসংগীত আশ্রিত গানেও তিনি বিশেষ অবদানের স্বাক্ষর রেখেছেন। বাংলা সাহিত্যে নাট্যকার হিসেবে তিনি বিশেষভাবে খ্যাত, তাই তাঁর নাটকের গানগুলি আজও বেশ জনপ্রিয়। তবে তিনি বাঙালি হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’, ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’-এর বিশেষত্ব মতো কালজয়ী স্বদেশি সংগীতের জন্য।