![]() |
বাংলা সংগীত জগতে গায়ক ও সুরকার রূপে মান্না দে-র স্থান নিরূপণ করো |
সূচনা
প্রাথমিক জীবন
মান্না দে-র প্রকৃত নাম প্রবোধচন্দ্র দে। পিতা-মাতার সান্নিধ্যে থাকলেও ছোটো কাকা সংগীতাচার্য কৃষ্ণচন্দ্র দে-র সংস্পর্শে এসে সংগীতের প্রতি তাঁর অনুরাগ জন্মায়। কাকা ছাড়াও তিনি ওস্তাদ দবীর খাঁর কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের শিক্ষালাভ করেন। সেইসঙ্গে ওস্তাদ আমন আলি খান ও আব্দুল রহমান খানও তাঁর সংগীত গুরু ছিলেন। কলেজ জীবন থেকেই তাঁর সংগীত প্রতিভা প্রকাশিত হতে থাকে। পরে কাকার সঙ্গে মুম্বাইয়ে এসে শচীন দেববর্মন সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসেন এবং মুম্বাইয়ের সংগীত জগতে নিজের স্থানটি পাকা করে নেন।
গানের জগতে মান্না দে
৪২-এ ‘তামান্না’ ছবিতে সুরাইয়ায় সঙ্গে ‘জাগো, আয়ি ঊষা’ গানটি গাওয়ার মধ্য দিয়ে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে তাঁর অভিষেক ঘটে। তিনি হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটি সহ নানান প্রাদেশিক ভাষায় ষাট বছর ধরে প্রায় ৩৫০০ গান গেয়েছেন। এ ছাড়া রবীন্দ্রসংগীত, দ্বিজেন্দ্রগীত ও শ্যামাসংগীত সহ বিভিন্ন ধরনের গানে দেখিয়েছেন অসামান্য দক্ষতা। তিনি পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ, দাদাসাহেব ফালকের মতো অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। লতা মঙ্গেশকর, মুকেশ, কিশোর কুমার, মহম্মদ রফি, শচীন দেববর্মন ও ভীমসেন যোশীর মতো অসামান্য প্রতিভাধর গায়কদের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়ে গান গেয়ে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। মান্না দে বাংলা চলচ্চিত্র ও আধুনিক গানে যে-স্বাক্ষর রেখে গেছেন তাও কালজয়ী। তাঁর গাওয়া ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা’, ‘আমি শ্রী শ্রী ভজহরি মান্না’ কিংবা ‘আমি যে জলসাঘরে’-র মতো গান আজও বাঙালির মুখে মুখে ফেরে।