![]() |
বিংশ শতকে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের কারণগুলি আলোচনা করো। |
বিংশ শতকে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনের কারণসমূহ
পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রভাব: উপনিবেশগুলিতে পাশ্চাত্য শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভাবধারার প্রসারের ফলে বেত্থাম, জেমস মিল, জন স্টুয়ার্ট মিল প্রমুখ দার্শনিকদের হিতবাদ ও উদারনীতিবাদের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ে উপনিবেশবাসীরা স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার ও জনগণের সার্বভৌমিকতা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে এবং ঔপনিবেশিক শাসনের সম্মুখে রুখে দাঁড়ায়।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিরোধিতা: পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি তাদের সভ্যতা-সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্বের দোহাই দিয়ে নিজ নিজ উপনিবেশে নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি জোর করে চাপিয়ে দিয়েছিল। ফলে উপনিবেশবাসীরা নিজ অস্তিত্ব, নিজ ঐতিহ্যের সংরক্ষণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় এবং পশ্চিমি আগ্রাসনের বিরোধিতায় সরব হয়ে ওঠে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলশ্রুতি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মতো সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি জয়লাভ করলেও তারা সামরিক ও আর্থিক দিক থেকে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাই উপনিবেশগুলিকে রক্ষা করার সামর্থ্য তাদের ছিল না।
উপনিবেশগুলিকে স্বাধীনতাদানের প্রতিশ্রুতি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ড, ফ্রান্স প্রভৃতি রাষ্ট্র উপনিবেশগুলি থেকে সাহায্যলাভের বিনিময়ে যুদ্ধের পর তাদের স্বাধীনতাদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। যুদ্ধ শেষ হলে উপনিবেশগুলি প্রতিশ্রুতি পালনের দাবি জানায়।
জাতিপুঞ্জের উদ্যোগ: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের উদ্যোগে বহু উপনিবেশের মুক্তি ঘটে এবং স্বাধীন হওয়ার পর তারা জাতিপুঞ্জের সদস্যপদও গ্রহণ করে।