![]() |
মুসোলিনির অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য কী ছিল? |
অভ্যন্তরীণ নীতির লক্ষ্য
একনায়কতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা: মুসোলিনি ইটালির প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হয়ে ইটালিতে ফ্যাসিস্ট দলের একনায়কতন্ত্রের সূচনা করেন। ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের সমস্ত ক্ষমতাই তাঁরই হাতে কুক্ষিগত ছিল। রাজা ছিলেন নামমাত্র শাসক। কঠোর দমন নীতির দ্বারা সমাজতন্ত্রীদের কণ্ঠরোধ করে তিনি একনায়কতন্ত্র কায়েম করেন।
শক্তিশালী ইটালি রাষ্ট্র গঠন: প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ সংস্কার রূপায়ণ ও কার্যকরণের মধ্য দিয়ে মুসোলিনি ইটালিকে ইউরোপীয় জগতে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য: ইতালিকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা: মুসোলিনি বিদেশনীতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় ইটালিকে পূর্ণ মর্যাদা আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। এই কারণে তিনি সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করেছিলেন।
গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা : ক্ষমতা দখল করেই মুসোলিনি ইটালিকে ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র ও গণতন্ত্রকে পদদলিত করে ফ্যাসিস্ট দল ছাড়া অন্য সব দলকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়। সমাজতন্ত্রীদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার ও দমন নীতি চালানো হয়। রাষ্ট্রের বিরোধিতাকে দেশদ্রোহী বলে ঘোষণা করা হয়। ফ্যাসিস্টদের মতে, সমাজতন্ত্রবাদ হল এক ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ শ্রেণিহীন সমাজ হল কল্পনার বিষয়। বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।
এইভাবে অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতি রূপায়ণের ও কার্যকরণের মধ্য দিয়ে ইটালির পূর্বতন গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে তিনি অনেকটা সফল হয়েছিলেন।