![]() |
মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী আদর্শের সঙ্গে গণতান্ত্রিক আদর্শের সংঘাতকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে? |
মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী পররাষ্ট্র নীতির প্রধান লক্ষ্য
ইটালির ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন
(১) দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে প্রাধান্য স্থাপনের চেষ্টা : ১৯২০-র দশকে ইটালি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের আড্রিয়াটিক সাগর অঞ্চলে প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করে এবং যুগোশ্লাভিয়ার কাছে ডালমেসিয়া অঞ্চলের ওপর দাবি জানায়, কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলির বিরোধিতায় বেশি দূর এগোতে পারেনি।
(২) আবিসিনিয়া দখল: তিরিশের দশকে ইটালি আফ্রিকা মহাদেশের আবিসিনিয়াকে সম্প্রসারণের এলাকা হিসেবে বেছে নেয় এবং ওয়াল ওয়াল নামক এক স্থানে ইটালির সৈন্যদের সঙ্গে আবিসিনিয়ার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। জাতিসংঘ ইটালিকে দোষী সাব্যস্ত করে, কিন্তু জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ইটালি ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে আবিসিনিয়াকে তার সাম্রাজ্যভুক্ত করে নেয়।
(৩) স্পেনের গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণ: স্পেনের প্রজাতান্ত্রিকসরকারের বিরুদ্ধে জেনারেল ফ্রাঙ্কো বিদ্রোহ করলে মুসোলিনি এগিয়ে আসেন এবং জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে গৃহযুদ্ধে যোগ দেয়। যুদ্ধে বিদ্রোহী নেতা ফ্রাঙ্কো জয়লাভ করায় ইটালি ও জার্মানির কূটনীতিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেল।
(৪) রোম-বার্লিন চুক্তি: সাম্যবাদী সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুসোলিনি নাতসিবাদী হিটলারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন এবং ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে জার্মানি ও ইটালির মধ্যে মিত্রতা গড়ে তোলেন যা রোম-বার্লিন চুক্তি নামে পরিচিত।