![]() |
শিল্প সমাজের সমালোচনার ক্ষেত্রে ফ্রেডারিক এঙ্গেলস ও কার্ল মার্কস-এর অবদান কী ছিল? |
ভূমিকা
[১] অর্থনীতি নির্ভরতা: অর্থনীতি হল সামাজিক জীবনের মূল প্রেরণা। পরস্পর বিরোধী অর্থনৈতিক স্বার্থ ও শক্তির সংঘাতের মাধ্যমেই সমাজের বিবর্তন ঘটেছে।
[২] শ্রেণি সংগ্রাম: শিল্প সমাজে শ্রমিকদের অবস্থান বর্ণনা করতে এঙ্গেলস ও কার্ল মার্কস দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ তত্ত্বের ও শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের অবতারণা করেন। এই তত্ত্বানুযায়ী পুঁজিপতি শ্রেণির কাছে শ্রমিক শ্রেণীকে জীবনধারণের জন্য নিজেদের শ্রমশক্তি বিক্রয় করতে হয়। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় উৎপাদন বাড়লে কারখানায় নিযুক্ত শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ফলে একসময় শ্রমিক শ্রেণির সঙ্গে পুঁজিপতি শ্রেণির দ্বন্দু শুরু হয়। এই দুই ভিন্ন স্বার্থের শ্রেণি সংগ্রামের মধ্যেই। লুকিয়েছিল বাস্তব সত্যতা।
[৩] উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব : মার্কস সমাজে সম্পদ বণ্টনে বৈষম্যের কারণকে চিহ্নিত করতে ‘উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব’ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন যে, সমাজে সমস্ত উৎপাদিত দ্রব্য-সামগ্রীই শ্রমের ফল-তাই শ্রমের মাপকাঠিতেই শ্রমিকদের মধ্যে সম্পদ বণ্টন হওয়া উচিত।
[৪] শ্রমিক ঐক্য : এঙ্গেলস ও কার্ল মার্কস বলেন যে, শ্রমিকদের নিজস্ব কোনো দেশ নেই, কারণ পৃথিবীর সব দেশের শ্রমিকরাই শোষিত এবং একারণেই তাঁরা বলেন ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’।