![]() |
সব নাকি বাদার দৌলতে।”-বাদার দৌলতে বাসিনীর মনিব বাড়ির কী লাভ হয়েছে? উচ্ছবের বাদার সঙ্গে এই বাদার পার্থক্য কী ছিল? |
বড়ো বাড়ির যজ্ঞের কাঠ কাটতে কাটতে নানাবিধ চাল দেখে উচ্ছবের চোখ যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসে। বাসিনীর কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে বাদা থেকে চাল এনে এরা পাহাড় সমান জমিয়েছে, “ডোলে ডোলে কত রকমের চাল থরে থরে সাজানো আছে”। প্রতিদিন পাঁচ ধরনের চাল রান্না হয় এ বাড়িতে। এ বাড়ির আঠারোটা দেবত্র সম্পত্তি রয়েছে আর বাদা অঞ্চলে অসাগর জমির ফসল থেকেই এদের এত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। তাই এ বাড়ির ছেলেরা কোনো চাকরির চেষ্টা না করে নিশ্চিন্তে বেলা এগারোটা পর্যন্ত ঘুমাতে পারে।
উচ্ছব যেদিন বড়োবাড়িতে প্রথম গেল সেদিন নানারকম তরকারি, এত রকম চাল, এত মাছ রান্না হতে দেখে উচ্ছবের মনে হয়েছিল-“এ একটা যজ্ঞি বটে”।
কিন্তু উচ্ছবের বাদায় শুধুই অভাব। গায়ে খেটেও বছরের বেশিরভাগ সময় আধপেটা, সিকিপেটা ভাত জোটে, পেট ভরাতে হয় গুগলি-গেঁড়ি-কচুশাক-সুশনো শাক দিয়ে। বড়োবাড়ির মন্দিরের চাতালে বসে উচ্ছব ভাবে বড়োবাড়ির এত সম্পদ কোন বাদার দৌলতে। ভাত খেয়ে দেহে শক্তি পেয়ে সেই বাদাটা উচ্ছব খুঁজে বের করবে।