![]() |
সুয়েজ সংকট কেন দেখা দিয়েছিল? |
সুয়েজ সংকট সৃষ্টির কারণসমূহ
নাসের-এর পাশ্চাত্য বিরোধিতা: মিশরের ক্ষমতা দখলের পর থেকে নাসের-এর সঙ্গে পশ্চিমি শক্তিবর্গের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এসময় তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক সাহায্যের প্রয়োজন অনুভব করেন।
ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ভূমিকা: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুয়েজ খালের উপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল ছিল ব্রিটেন ও ফ্রান্স। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী ডালেস সুয়েজ খাল ব্যবহারকারী দেশগুলিকে নিয়ে একটি সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিলেও ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স তাতে আগ্রহ দেখায়নি। পরে ব্রিটেন ও ফ্রান্স সুয়েজ খালের উপর আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি জানালে নাসের-এর পক্ষে তা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়।
সুয়েজ খাল জাতীয়করণ: বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্ষুব্ধ নাসের সুয়েজ খাল ও সুয়েজ ক্যানাল কোম্পানির জাতীয়করণ করেন (২৬ জুলাই, ১৯৫৬ খ্রি.)। তিনি ঘোষণা করেন যে, এই খাল থেকে আদায়ীকত অর্থ আসওয়ান বাঁধ নির্মাণের কাজে লাগানো হবে এবং আন্তর্জাতিক যোগসূত্র হিসেবে সব দেশের জাহাজ এই জলপথ ব্যবহার করতে পারবে। এই ঘোষণা জটিলতা সৃষ্টি করে। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্ররোচনায় ইজরায়েল মিশর আক্রমণ করলে (২৯ অক্টোবর, ১৯৫৬ খ্রি.) সুয়েজ সংকটের সৃষ্টি হয়।