বাউল কবি লালন শাহের ‘লালন শাহ্ ফকিরের গান’ কবিতার অংশ এটি।
বাউল সাধনা হল মানবসাধনার মাধ্যমে পরমাত্মা বা মনের মানুষের সাধনা। বাউলরা মনে করেন যে-মা আছে ব্রহ্মাণ্ডে তা আছে দেহভাণ্ডে অর্থাৎ মানবদেহেই পরমাত্মা বা মনের মানুষের অবস্থান। তাই মানবসেবা করলেই সেই পরমাত্মা মনের মানুষের সঙ্গে মিলন সম্ভব হয়। এই পৃথিবীতে মানুষ একা বাঁচতে পারে না। সকল মানুষের সঙ্গে মিলে সুস্থভাবে, সুন্দরভাবে জীবনধারণ করে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারলেই পরমাত্মার সান্নিধ্যলাভ করা যায়। কবি উদাহরণ স্বরূপ বলেছেন, বড়ো গাছের সঙ্গে স্বর্ণলতা বা আলেকলতা যেভাবে থাকে-তাকে পৃথক উদ্ভিদ বলে মনে হয় না, তেমনি এই পৃথিবীতে মানুষের সঙ্গে মানুষ ওতপ্রতভাবে যুক্ত হয়ে আছে।