বিভিন্ন নীতিবিদদের দেওয়া নীতিবিজ্ঞানের সংজ্ঞাগুলি আলোচনা করো

বিভিন্ন নীতিবিদদের সংজ্ঞা
বিভিন্ন নীতিবিদগণ নীতিবিদ্যাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। সেগুলির মধ্যে নীতিবিদ ম্যাকেঞ্জি, ম্যুরহেড এবং উইলিয়াম লিলি প্রদত্ত সংজ্ঞা উল্লেখযোগ্য।
(1) ম্যাকেঞ্জি প্রদত্ত সংজ্ঞা: নীতিবিদ ম্যাকেঞ্জি, নীতিবিদ্যার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, “নীতিবিদ্যা হল মানুষের আচরণের ঔচিত্য ও ভালোত্বের আলোচনা।” অর্থাৎ তাঁর মতে, নীতিবিজ্ঞানের কাজ হল মানুষের আচরণকে ভালো-মন্দের নিরিখে বা মানদণ্ডে বিচার করা। ভালো-মন্দই হল মানুষের আচরণের নৈতিক বিচারের মানদণ্ড।
ম্যাকেঞ্জি ‘ভালো’ শব্দটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, কোনো আচরণকে তখনই ভালো বলা হবে যখন সেটি কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য পূরণের পথে কার্যকরী হবে। কোনো আচরণকে যথোচিত বা ন্যায়সংগত তখন বলা হবে যখন ওই আচরণের সঙ্গে নৈতিক নিয়মের সংগতি থাকবে।
(2) ম্যুরাহড প্রদত্ত সংজ্ঞা: দার্শনিক ম্যুরহেড বলেছেন, “নীতিবিদ্যা হল এমন একটি শাস্ত্র যা মানুষের আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত সর্বোত্তম আদর্শ নিয়ে আলোচনা করে”। তাঁর মতে, এই সর্বোত্তম আদর্শের নিরিখে মানুষের আচরণের মূল্যায়ন করাই নীতিবিজ্ঞানের কাজ।
(3) লিলি প্রদত্ত সংজ্ঞা: নীতিবিদ লিলির মতে, “নীতিবিদ্যা হল সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণসম্বন্ধীয় এমন এক আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান যেখানে মানুষের আচরণকে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ বা অনুরূপভাবে বিচার করা হয়।” নীতিবিদ্যার এই সংজ্ঞাটিকেই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন – নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর