যাঁর উক্তি
‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধটির সূচনাতেই লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
প্রসঙ্গ
প্রাবন্ধিকের মতে, এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রসৃষ্টি বিষয়ক আলোচনা যদি নির্মোহ, নৈর্ব্যক্তিক না হয়, যদি লেখকের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রাধান্য পায় তবে, পাঠক-পাঠিকারা যেন মার্জনা করেন। এই প্রসঙ্গেই আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।
কারণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাস্থানে ছাত্র ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। ১৯২১ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সেই সূত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাই তাঁর আলোচনায় ব্যক্তিগত রবীন্দ্রদৃষ্টি চলে আসলে পাঠক ও পাঠিকারা অপরাধ যাতে না নেন তার অনুরোধ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্টির মহামিলনে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিচিত্রভাবে ধরা দিয়েছেন। মানুষ ও সময়ের ভেদে চিন্তনের ফসলে তাঁর অবাধ গতি। সুশীল পাঠক ও সহৃদয়া পাঠিকা যাঁরা রবীন্দ্রসৃষ্টিতে মগ্ন থাকেন তারা সৃষ্টির খোলা হাওয়ায় অনুসন্ধান করেন রবীন্দ্রসৃষ্টিরই স্বর্ণফসল। সমালোচনায় মগ্ন থাকেন সেই ফসলের মাত্রানির্ণয়ে। কিন্তু সৈয়দ মুজতবা আলী ব্যক্তিগতভাবে রবীন্দ্রনাথকে চেনেন, গুরুদেব হিসেবে স্বীকার করেন। তাঁর লিখনে রবীন্দ্রনাথের সাহচর্য পাওয়ার কথা গর্বভরে উঠে আসলে সুশীল পাঠক ও সহৃদয়া পাঠিকা অপরাধ নেবেন না। তিনি এই অনুরোধই করেছেন।