"ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা"-কে, কোন্ বিষয়কে 'পাশবিক স্বার্থপরতা' বলেছে । তার এমন বলার কারণ কী

"ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।"-কে, কোন্ বিষয়কে 'পাশবিক স্বার্থপরতা' বলেছে? তার এমন বলার কারণ কী
“ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।”-কে, কোন্ বিষয়কে ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলেছে? তার এমন বলার কারণ কী?

বক্তা, প্রসঙ্গ

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় তার সমস্ত সামর্থ্য দিয়ে নিরন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। তার জন্য সে তার পরিবারকে উপেক্ষা করে, নিজে না খেয়ে সেই খাবার অন্যদের বিলিয়ে দেয়। তার এই ভাবনা নীতিগতভাবে ঠিক হলেও নিখিল সমাজধর্মের দিক থেকে তাকে পাপ বলে। তখন, মৃত্যুঞ্জয় উদ্ধৃত উক্তিটি করে।

‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলার কারণ

মৃত্যুঞ্জয় মানবতাবাদী, যুক্তিবাদী, সংবেদনশীল ও আদর্শবাদী। তার জীবনের আদর্শবোধ ও মানবতার জোরেই সে নিজেকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেও দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষকে ত্রাণ দিতে চায়। তার যুক্তি এতটাই জোরালো এবং সংবেদনশীল যে তা তার পরিবারের বিপদের কারণ হয়ে ওঠে। সামাজিক দায়িত্বপালনে সে পারিবারিক দায়কে বিসর্জন দেয়। দেশের অগণিত অনাহারী মানুষকে বাঁচানোই তার প্রধান লক্ষ্য হয়ে ওঠে। তাই সহকর্মী নিখিল যখন বলে অন্নপ্রার্থী মানুষকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে না খাইয়ে মারা পাপ তখন সেই চিন্তাকেই মৃত্যুঞ্জয় তার যুক্তিবোধে ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলে।

Leave a Comment