চারণকবি কবিতার প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু ও নামকরণ
![]() |
চারণকবি কবিতার প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু ও নামকরণ |
চারণকবি কবিতার প্রেক্ষাপট
বেঞ্জামিন মোলায়েজ ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ আফ্রিকার আলেকজান্দ্রায় জন্মগ্রহণ করেন। নিরাপত্তা পুলিশকে হত্যার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ অক্টোবর ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৩০ বছর বয়সে তাঁকে প্রিটোরিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়।
মুক্তিযোদ্ধা বেঞ্জামিন দীর্ঘদিন ধরে বর্ণবিদ্বেষী বোথা সরকারের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। সেই কণ্ঠকে স্তব্ধ করতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সারা পৃথিবী প্রতিবাদে উত্তাল হলেও মৃত্যুদণ্ড রোধ করে না সরকার। বর্ণবিদ্বেষী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইকে দৃঢ় ও উত্তাল করে তোলে কবির মৃত্যু।
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন মোলায়েজকে যখন ফাঁসি দেয় বোথা সরকার তখন ভারভারা রাও-ও জেলবন্দি। বন্দিশালা থেকে লেখা ছয় সংখ্যক চিঠিতে ভারভারা রাও জানালেন-
আর সময়ের ঢেউ-তোলা কালো মেঘের দল
ফাঁস লাগাচ্ছে গলায়”
চারণকবি কবিতার বিষয়বস্তু
সার্বিক ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। আধুনিক রাষ্ট্র কিংবা সমাজভাবনায় যে নিয়মনীতিগুলি রচিত হয়েছে-কবি ভারভারা রাও ‘চারণকবি’ কবিতায় দেখিয়েছেন, সেসব আইনকানুন সব লুপ্ত হয়ে গেছে, হঠাৎ যেন উবে গেছে সেসব। পীড়িত, শোষিত মানুষের স্বপ্নেরা এ সময়ে পদদলিত, রক্তাক্ত। সর্বহারা মানুষগুলির উঠোনে একের পর এক দুঃসময়ের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। লন্ডভন্ড করে দিয়েছে জীবনটাকে। বল প্রয়োগ করে রাষ্ট্র ওদের গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিয়েছে। ওদের জীবনীশক্তি আজ নিঃশেষিত। এখন আর ওরা রক্তাক্ত হয় না, চোখে জল আসে না। জীবনের আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ঘন অন্ধকার আকাশ থেকে মুহুর্মুহু বাজ পড়ে। ঝরে-পড়া বৃষ্টি প্রশমিত করতে পারে না ওদের নিঃসীম জীবনযন্ত্রণাকে। তবু তারই মাঝে কোনো কবি কারাগারে বন্দি অবস্থাতেও বাইরের মুক্তিকামী মানুষের জন্য অমর লিপিমালা, শাশ্বতস্বর উচ্চারণ করে চলেন।
রাষ্ট্রশক্তির চোখরাঙানিকে তুচ্ছ করে যে কবি দিনবদলের সুর বেঁধেছিলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁর গলাতেই ফাঁস পরাল। কবির বুদ্ধসংগীতই হয়ে উঠল সাধারণের অধিকার অর্জনের হাতিয়ার। জনতার প্রতিরোধের সামনে ফাঁসির মঞ্চ নেমে আসে মাটির কাছাকাছি। আর ফাঁসুড়ে রাষ্ট্রতন্ত্রের গলাতেই আটকে যায় বহুপ্রতীক্ষিত সেই ফাঁস।
চারণকবি কবিতার নামকরণ
ভূমিকা:
চারণকবি কারা:
পাঠ্য কবিতায় কাব্যবর্ণনাও উচ্চারণ করেছে-
অন্তর্নিহিত অর্থ:
নামকরণের সার্থকতা: