দ্বাদশ শ্রেণি বিষয় বাংলা রূপতত্ত্ব ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

দ্বাদশ শ্রেণি বিষয় বাংলা রূপতত্ত্ব ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর
দ্বাদশ শ্রেণি বিষয় বাংলা রূপতত্ত্ব ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর

Table of Contents

রূপ ও দল কাকে বলে?

রূপ হল ভাষার সবচেয়ে ক্ষুদ্র অর্থপূর্ণ একক। যেমন: বিড়াল। আর দল হল বাগ্যন্ত্রের একবারের চেষ্টায় উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিসমূহ। যেমন: ‘হাসপাতাল’ শব্দে তিনটি দল পাওয়া যায়- হাস-পা-তাল, কিন্তু রূপ একটাই ‘হাসপাতাল’।

রূপমূলের দুটি শ্রেণির উল্লেখ করো।

রূপমূলের দুটি শ্রেণি- (ক) স্বাধীন রূপমূল, (খ) পরাধীন রূপমূল।

স্বাধীন রূপমূল কাকে বলে উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

যে ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি অন্য কোনো ধ্বনিসমষ্টির সাহায্য ছাড়াই এককভাবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং যার নিজস্ব অর্থ বিদ্যমান থাকে, তাকে স্বাধীন বা মুক্ত রূপমূল বলে। যেমন: বিড়াল, দোকান, বাজার ইত্যাদি।

পরাধীন রূপমূল কাকে বলে বুঝিয়ে দাও।

যে ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি অন্য কোনো ধ্বনিসমষ্টির সঙ্গে যুক্ত না-হয়ে এককভাবে ব্যবহৃত হতে পারে না, তাকে পরাধীন বা বদ্ধ রূপমূল বলে। যেমন: ‘গুলো’; বিড়াল গুলো = বিড়ালগুলো।

দুটি পরাধীন রূপমূলের উদাহরণ দাও।

‘অস্বাভাবিক’ শব্দের ‘অ’ এবং ‘মানুষগুলো’ শব্দের ‘গুলো’ হল পরাধীন বা বদ্ধ রূপমূল।

সহরূপমূল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

রূপ মাত্রই তার অর্থ থাকে, অর্থ না-বদলে যখন রূপের বৈচিত্র্য দেখা যায় তখন সেই বৈচিত্র্যগুলিকে সহরূপ বলে। যেমন: একটা, দুটো, তিনটে-র ক্ষেত্রে ‘টা’, ‘টো’, ‘টে’ হল সহরূপ।

সহরূপের শর্তগুলি আলোচনা করো।

সহরূপের শর্তগুলি হল-(১) একটি নির্দিষ্ট রূপের সহরূপগুলির আভিধানিক বা ব্যাকরণগত অর্থ যেমনই হোক-না-কেন, তাদের অর্থের মধ্যে একটি সাধারণ মিলের জায়গা থাকে।
সহরূপগুলিকে একে অপরের পরিপূরক হতে হয় অর্থাৎ একটি সহরূপের জায়গা আর একটি সহরূপ নিতে পারে না।

প্রকৃতি কাকে বলে উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

মৌলিক ভাব প্রদান করে এমন অবিভাজ্য পদ বা পদের অংশই হচ্ছে প্রকৃতি। যেমন: খেলনাওয়ালাকে খেলনা ওয়ালা কে। এক্ষেত্রে ‘খেলনা’ অংশটাই গোটা পদের মূলভাবটা প্রকাশ করে।

প্রকৃতি কতপ্রকার ও কী কী?

প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা: (ক) নামপ্রকৃতি, (খ) ধাতুপ্রকৃতি। 

নামপ্রকৃতি বলতে কী বোঝ?

যে প্রকৃতি কোনো প্রত্যয় বা বিভক্তি ছাড়াই নিজেই পদরূপে অবতীর্ণ হতে পারে, তাকে নামপ্রকৃতি বলে। যেমন: ‘মা’, ‘জল’ ইত্যাদি।

ধাতুপ্রকৃতি কাকে বলে?

যে প্রকৃতির মাধ্যমে পদের একটি অবশিষ্ট মৌলিক অংশ পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে কোনো ক্রিয়া জাতীয় ভূমিকাকে নির্দেশ করা হয়, তাকে ধাতুপ্রকৃতি বলে। যেমন: খা, চল্ ইত্যাদি।

প্রত্যয় কাকে বলে?

যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি পদ বা ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন পদের সৃষ্টি করে বা কখনও পদের পরিবর্তন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। যেমন: খা + আ = খাওয়া, চালাক ই চালাকি।

ব্যাবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুসারে প্রত্যয় ক-প্রকার ও কী কী?

ব্যাবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুসারে প্রত্যয় দুই প্রকার- (ক) কৃৎ প্রত্যয় ও (খ) তদ্ধিত প্রত্যয়।

ধাতুর সঙ্গে যে প্রত্যয় বসে, তার নাম কী?

যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন পদের সৃষ্টি করে তাকে বলে কৃৎ প্রত্যয়। উদাহরণ: পূজ অনীয় পূজনীয়, জ্বল + অন্ত = জ্বলন্ত ইত্যাদি।

তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে?

যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে বা অনেক সময় পদ পরিবর্তন ঘটায়, তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন: বাঁশি + ওয়ালা = বাঁশিওয়ালা।

বিভক্তি কাকে বলে? 

যে অর্থহীন ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে শব্দ বা ধাতুকে পদে পরিণত করে এবং যথাক্রমে কারক ও কাল নির্ণয়ে সাহায্য করে, তাকে বিভক্তি বলে। যেমন: ‘রামের-রাম এর’ বিভক্তি।

প্রাতিপদিক কাকে বলে?

প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের যোগে বিভক্তিহীন শব্দের চেহারাকে প্রাতিপদিক বলে।

উপসর্গ কাকে বলে?

যে অব্যয় ধাতুর আগে যুক্ত হয়ে ধাতুর অর্থ পরিবর্তন করে অথবা ধাতুর মূল অর্থকে বিশিষ্টতা দান করে, তাকে উপসর্গ বলে।

‘অ’ উপসর্গ যোগ করে পদগঠন করো।

‘অ’ উপসর্গযোগে গঠিত পদ হল- অজানা, অচেনা, অপরিচিত।

‘অনা’ উপসর্গযোগে দুটি শব্দ বানাও।

‘অনা’ উপসর্গযোগে শব্দ- অনাবৃষ্টি, অনাসৃষ্টি।

‘বি’ উপসর্গযোগে শব্দগঠন করো।

‘বি’ উপসর্গযোগে শব্দ হল- বিদেশ, বিপথ।

‘সু’ উপসর্গযোগে দুটি নতুন শব্দগঠন করো।

‘সু’ উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ- সুবিচার, সুসংহত।

রূপতত্ত্বে ‘ভিত্তি’ বলতে কী বোঝায়?

রূপতত্ত্বে পদের যে অংশ কোনো নির্দিষ্ট প্রত্যয়ের বা উপসর্গের ভিত হিসেবে কাজ করে, সেই অংশের নাম ভিত্তি। যেমন: ‘নাগরিকত্ব’ পদটির ভিত্তি নাগরিক আর নাগরিক পদের ভিত্তি নগর।

আভিধানিক রূপমূল কাকে বলে?

যেসকল রূপমূলের অর্থ আমরা অভিধান ঘেঁটে বের করে নিতে পারি, সেইসকল রূপমূলকে বলা হয় আভিধানিক রূপমূল। যেমন: বিশেষ্য, ক্রিয়া, উপসর্গ ইত্যাদি।

ব্যাকরণসম্মত রূপমূল কাকে বলে?

যে-সমস্ত রূপের ঠাঁই অভিধানে হয় না অথচ ব্যাকরণে এরা রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ব্যাকরণসম্মত রূপমূল বলে। যেমন: প্রত্যয়, উপসর্গ।

সমন্বয়ী রূপমূল কাকে বলে?

কোনো রূপ যখন বিভক্তির ভূমিকা পালন করে তখন সেই রূপকে সমন্বয়ী রূপমূল বলে। এই রূপ শব্দকে পদে রূপান্তরিত করে এবং সমন্বয়ের পর সেই পদ একটা স্থির চেহারা পায়, তখন আর তাকে বাড়ানো যায় না। মেয়ে + ‘কে’ [বিভক্তি] = মেয়েকে (মেয়েকের বা মেয়েকটা হয় না)।

নিষ্পাদিত রূপমূল কাকে বলে?

যে রূপমূল নতুন পদগঠনের ক্ষমতা রাখে এবং যাদের উপস্থিতিতে কখনও পদের পরিবর্তন ঘটে, আবার কখনও একই পদের মধ্যে শুধু অর্থের পরিবর্তন ঘটায় তাকে নিষ্পাদিত রূপমূল বলে। যেমন: প্রত্যয়, উপসর্গ।

মিশ্র রূপমূল কী?

দুটি মুক্ত বা স্বাধীন রূপমূলের সমন্বয়ে যখন একটি পদ তৈরি হয় এবং সেই পদের অর্থ শব্দে উপস্থিত দুটি রূপের অর্থের থেকে আলাদাভাবে প্রকাশিত হয়, সেই রূপের সমবায়কে মিশ্র রূপমূল বলে। যেমন: গঙ্গাফড়িং, মৃত্যুদণ্ড।

জটিল রূপমূল কাকে বলে?

দুইয়ের বেশি রূপমূলের সমবায়ে গঠিত রূপমূলকে বলা হয় জটিল রূপমূল। যেমন: অসহযোগিতা।

‘জোড়কলম শব্দ’ কাকে বলে?

সহজ কথায় বললে জোড়কলম শব্দ বলতে এমন এক ধরনের শব্দকে বোঝায়, যার মধ্যে একাধিক রূপমূলের সমবায় থাকে। যেমন: ধোঁয়া + কুয়াশা = ধোঁয়াশা।

ফাঁকা রূপ কাকে বলে?

এক ধরনের রূপমূল আছে বাস্তবে যাদের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় না, তাদের বলে ফাঁকা রূপ। যেমন: ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী।

শূন্যরূপ কাকে বলে?

যে রূপগুলিকে চোখে না-দেখলেও অস্তিত্ব বোঝা যায় তাকে বলে শূন্যরূপ। যেমন: আমি বাড়ি যাব। শূন্যরূপের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ শূন্য বিভক্তি।

সমাস কাকে বলে?

পদের যে গঠন প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদ একত্রে বসে একটি বড়ো পদের জন্ম দেয় সে গঠন প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে সমাস। সমাসের ফলে সৃষ্ট পদকে সমস্তপদ বলে।

দ্বন্দ্ব সমাসের পরিচয় দাও।

যে সমাসে একাধিক পদ শুধু পাশাপাশি জুড়ে যায় কিন্তু পদগুলির নিজস্ব অর্থের কোনোরকম পরিবর্তন ঘটে না, বরং প্রত্যেকের অর্থপ্রাধান্য বজায় থাকে, তাকে দ্বন্দু সমাস বলে। যেমন: দিনরাত, ঝাপসা।

ব্যাখ্যানমূলক সমাস কাকে বলে?

যে সমাসে দুটি পদ যখন পাশাপাশি বসে এবং প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদটিকে ব্যাখ্যা করে, তাকে ব্যাখ্যানমূলক সমাস বলে। যেমন: মহাকবি, গায়ে-হলুদ।

বর্ণনামূলক সমাস কাকে বলে?

যে সমাসে পদগুলি পরস্পর যুক্ত হয়ে যে সমস্তপদ গঠন করে, সেই পদটির অর্থ মধ্যস্থ কোনো পদকে নয়, বরং বাইরের কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করে, তাকে বর্ণনামূলক (বা বহুব্রীহি) সমাস বলে। যেমন: চন্দ্রমুখী, হাতাহাতি।

পদদ্বৈত বলতে কী বোঝায়?

একই পদ দু-বার পাশাপাশি বসার প্রক্রিয়াকে পদদ্বৈত বলে। যেমন: সকাল-সকাল, চুপি-চুপি।

অনুকার পদ কাকে বলে? একটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করো।

বাংলায় মূলপদের প্রতিধ্বনি হয়ে পদ বসার প্রবণতা দেখা যায়। এই প্রতিধ্বনি স্বরূপ পদগুলির কোনো নির্দিষ্ট অর্থ নেই, এরা মূল পদের ছায়া মাত্র। এদেরকেই অনুকার পদ বলে। যেমন ‘টুপ-টাপ’ শব্দে ‘টাপ’ হল অনুকার পদ।

সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস কী?

ক্লিপিংস এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যেখানে শব্দের চেহারার পরিবর্তন ঘটে এবং শব্দটি আকারে ছোটো হয়ে যায় অথচ শব্দের অর্থগত বা ব্যাকরণগত কোনো পরিবর্তন হয় না। যেমন: ছোটোকাকা > ছোটকা, টেলিফোন > ফোন।

বিকল্পন কী?

বিকল্পন এমন এক ধরনের গঠন প্রক্রিয়া যেখানে দুটি পদের পারস্পরিক সম্পর্কের ধ্বনিতাত্ত্বিক চেহারার রূপ স্বাভাবিক নিয়মের আদলে তৈরি হয় না, ব্যতিক্রমী রূপ চোখে পড়ে। যেমন: ইংরেজি go থেকে goed না হয়ে ‘went’ হয়। একে বলে বিকল্পন।

মুন্ডমাল শব্দ কাকে বলে?

একটি শব্দগুচ্ছের প্রত্যেকটি শব্দের শুধুমাত্র প্রথম ধ্বনিগুলির সমাবেশ ঘটিয়ে যখন একটি শব্দ তৈরি হয়, তার নাম দেওয়া হয় মুণ্ডমাল শব্দ বা অ্যাক্রোনিম। যেমন: District Magistrate = DM

নব্য শব্দপ্রয়োগ আসলে কী?

ভাষায় যখন কোনো নতুন শব্দ দৈনন্দিন ব্যবহারের তালিকায় প্রবেশ করে, তখন সেই প্রক্রিয়াকে বলা হয় নব্য শব্দপ্রয়োগ। যেমন: ফেসবুক, স্পা, অ্যাপস ইত্যাদি।

বর্গান্তর কী?

কোনো শব্দ এক পদ থেকে অন্য পদে পরিবর্তিত হয়ে যখন চেহারায় কোনো পরিবর্তন ঘটে, সেই প্রক্রিয়াকে বর্গান্তর বলে। যেমন: স্বপনবাবু ধনী ব্যক্তি। ধনী মাত্রেই অহংকারী। প্রথম বাক্যে ‘ধনী’ বিশেষণ পদ হলেও দ্বিতীয় বাক্যে ‘ধনী’ কিন্তু বিশেষ্যপদ।

ব্র্যানবেরি রূপমূল বলতে কী বোঝ?

এটি এমন এক ধরনের পরাধীন রূপমূল যার কোনো আভিধানিক অর্থ নেই, আর এর কোনো ব্যাকরণসম্মত অর্থও থাকে না, অথচ একটি শব্দকে অন্য শব্দের থেকে পৃথক করতে পারে। যেমন: সংলাপ, প্রলাপ, বিলাপ-শব্দগুলির ‘লাপ’ অংশটি।

অনুকার পদ গঠনের সময় কী দেখা যায়?

অনুকার পদ গঠনের সময় প্রতিধ্বনিতে মূলপদের স্বরধ্বনি এবং ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন: টুপ-টাপ, ছেলে-টেলে ইত্যাদি।

শূন্যরূপের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ দাও।

শূন্যরূপের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ শূন্য বিভক্তি। যেমন : আমি বাড়িতে যাব। আমি বাড়ি যাব। দুটি বাক্যের একই অর্থ। শুধু গঠন আলাদা। কারণ প্রথম বাক্যে ‘তে’ বিভক্তি আছে, কিন্তু দ্বিতীয়টিতে আছে শূন্য বিভক্তি। এই শূন্য বিভক্তিই হল শূন্যরূপ। শূন্যরূপের উচ্চারণগত অস্তিত্ব না-থাকলেও, সে অর্থগত অস্তিত্ব বজায় রেখে নিজের দায়িত্ব পালন করে।

রূপমূল কী? উদাহরণ দাও। 

ভাষার সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ একককে রূপমূল বলা হয়। যেমন: ‘তামাটে’ শব্দে ‘তামা’ ও ‘টে’ হল রূপমূল।

দুটি খণ্ডিত শব্দের উদাহরণ দাও।

খণ্ডিত শব্দের দুটি উদাহরণ হল- টেলিফোন > ফোন, মাইক্রোফোন > মাইক।

দুটি স্বাধীন রূপমূলের উদাহরণ দাও।

দুটি স্বাধীন রূপমূল হল- ‘মানুষকে’ পদের ‘মানুষ’ আর ‘সুগন্ধ’ পদের ‘গন্ধ’।

স্বাধীন ও পরাধীন আভিধানিক রূপমূল কাকে বলে?

যে সমস্ত রূপমূলের অর্থ অভিধানে পাওয়া যায়, তাকে আভিধানিক রূপমূল বলে। এর মধ্যে বিশেষ্য, ক্রিয়া প্রভৃতি একক অবিভাজ্য পদ যারা রূপেরই নামান্তর, তারা হল স্বাধীন আভিধানিক রূপমূল। কিন্তু পরাধীন আভিধানিক রূপমূল অভিধানে থাকলেও এদের কোনো স্বাধীন ব্যবহার নেই। যেমন: রিকশাওয়ালা, বাঁশিওয়ালা-র ‘রিকশা’ ও ‘বাঁশি’ হল স্বাধীন আভিধানিক রূপমূল, আর ‘ওয়ালা’ পরাধীন আভিধানিক রূপমূল।

মুক্ত ও বদ্ধ রূপমূলের পার্থক্য লেখো।

মুক্ত রূপমূল অন্য কোনো রূপমূলের সাহায্য ছাড়াই ব্যবহৃত হতে পারে, কিন্তু বদ্ধ রূপমূল কখনোই মুক্ত রূপমূলের সাহায্য ছাড়া এককভাবে প্রযুক্ত হয় না।

‘জোড়কলম’-এর প্রতিশব্দ কী?

‘জোড়কলম’-এর প্রতিশব্দ হল ‘পোর্টম্যানটু’।

প্রত্যয়, উপসর্গ এরা কী ধরনের রূপমূল?

প্রত্যয়, উপসর্গ-এরা প্রধানত নিষ্পাদিত রূপমূল।

কোন রূপমূল একটি শব্দকে অন্য শব্দের থেকে পৃথক করতে পারে?

ব্র্যানবেরি রূপমূল একটি শব্দকে অন্য শব্দের থেকে পৃথক করতে পারে।

পদগঠনের চরিত্রের ভিন্নতা অনুযায়ী সমাস কয়প্রকার ও কী কী?

পদগঠনের চরিত্রের ভিন্নতা অনুযায়ী সমাস তিনপ্রকার-দ্বন্দু, ব্যাখ্যানমূলক ও বর্ণনামূলক।

বিশেষ্য, ক্রিয়া কী ধরনের রূপমূল?

বিশেষ্য, ক্রিয়া-এরা স্বাধীন আভিধানিক রূপমূল।

দুটি পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূলের নাম লেখো।

দুটি পরাধীন ব্যাকরণসম্মত রূপমূল হল-সমন্বয়ী ও নিষ্পাদিত রূপমূল।

সচেতনতা পদটির ভিত্তি কী?

‘সচেতনতা’ পদটির ভিত্তি হল সচেতন।

অর্থ না-বদলে রূপের বৈচিত্র্য দেখা গেলে তাকে কী বলে?

অর্থ না-বদলে রূপের বৈচিত্র্য দেখা গেলে তাকে সহরূপ বলে।

অ্যাক্রোনিম কার প্রতিশব্দ?

শব্দগুচ্ছের আদ্যক্ষর নিয়ে গঠিত শব্দকে মুণ্ডমাল শব্দ বা অ্যাক্রোনিম বলে। যেমন: ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট-ডি এম।

Leave a Comment