প্রত্যয় কাকে বলে? ব্যাবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়ের ক-টি ভাগ ও কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।

প্রত্যয় কাকে বলে? ব্যাবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়ের ক-টি ভাগ ও কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও
প্রত্যয় কাকে বলে? ব্যাবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়ের ক-টি ভাগ ও কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।
শব্দপ্রকৃতি ও ধাতুপ্রকৃতির পরে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যোগ করে নতুন শব্দ সৃষ্টি করা হয় সেই ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় হল নতুন নতুন শব্দগঠনের কৌশল। যেমন: ভূজ্ + অন = ভোজন, রাবণ + ঘ্নি = রাবণি, কৃ + অনীয় = করণীয়।

ব্যাবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়কে দু-ভাগে ভাগ করা হয়-(১) কৃৎ প্রত্যয় ও (২) তদ্ধিত প্রত্যয়।

দুই প্রকার প্রত্যয়ের উদাহরণ নিম্নরূপ-

[১] কৃৎ প্রত্যয়: ধাতুর উত্তর যে প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ সৃষ্টি হয়, তাকে ‘কৃৎ প্রত্যয়’ বলে। যেমন: √গম্ + ক্তি = গতি, চিল্ + অন্ত = চলন্ত।

[২] তদ্ধিত প্রত্যয়: শব্দের উত্তর যে প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ সৃষ্টি হয়, তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন: গঙ্গা ফ্লেয় গাঙ্গেয়, দোকান + দার – দোকানদার।

Leave a Comment