![]() |
বাংলার চিকিৎসাশাস্ত্রে নীলরতন সরকারের অবদান আলোচনা করো। |
প্রারম্ভিক জীবন
বাংলার চিকিৎসক সমাজের আদর্শ ও অনুপ্রেরণা
নীলরতন সরকার প্রথমে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো নির্বাচিত হন। পরে ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন। এরপর ১৯২৪ থেকে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি স্নাতকোত্তর কলা বিভাগের সভাপতি ছিলেন এবং ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত স্নাতকোত্তর বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির পদ অলংকৃত করেন। ডা. সরকার কেবল নিজে একজন বিখ্যাত ডাক্তার ছিলেন তা নয়- তিনি ডাক্তারি পরিসেবাকে বৃহত্তর মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রণী ছিলেন। তিনি ডাক্তার সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারীর সঙ্গে কলিকাতা মেডিকেল স্কুল এবং ডা. রাধাগোবিন্দ করের সহায়ক হিসেবে বর্তমান আর জি কর মেডিকেল কলেজটি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় সহযোগিতা করেছিলেন।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী
পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত চিকিৎসকদের গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা পরিসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণাস্বরূপ। এ ছাড়া তিনি চিত্তরঞ্জন সেবা প্রতিষ্ঠান এবং যাদবপুর যক্ষ্মা হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন। এহেন চিকিৎসক একজন বিখ্যাত শিল্পোদ্যোগীও ছিলেন। তিনিই প্রথম এদেশে দূষণমুক্ত ট্যানারি এবং সার ও সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। তাঁর অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। ক্যালকাটা মেডিকেল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এই বিখ্যাত চিকিৎসকের উল্লেখযোগ্য গবেষণাটি ছিল ‘সিরোসিস অফ লিভার ইন চিলড্রেন’। ড. সরকারের সুযোগ্য শিষ্য ছিলেন ড. বিধানচন্দ্র রায়। ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে তিনি রবীন্দ্রনাথের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন।