![]() |
বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মেঘনাদ সাহার অবদান সম্পর্কে লেখো। |
অধ্যাপক জীবনের সূত্রপাত
গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিভা
মেঘনাদ সাহার গবেষণার বিষয় ছিল রিলেটিভিটি, প্রেসার অফ লাইট ও অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। ফিলজফিক্যাল ম্যাগাজিনে ১৯১৭ ও ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে যথাক্রমে ‘অন ম্যাক্সওয়েল স্ট্রেসেস’ ও ‘অন আয়োনাইজেশন ইন দ্য সোলার ক্রোমোস্ফিয়ার’-নামক নিবন্ধন দুটি প্রকাশিত হয়। ‘সূর্যের বর্ণমণ্ডলের আয়নীকরণ’ শিরোনামে প্রকাশিত এই প্রবন্ধটি জ্যোতি বিজ্ঞান-পদার্থবিজ্ঞানের এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে। এ তত্ত্বটি পরে সাহার সমীকরণ নামে পরিচিত হয়। এর সাহায্যে তাপবিদ্যাবলয় ও কোয়ান্টাম তত্ত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন তারকার বর্ণালি ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়েছিল। আজও দেশে-বিদেশে তাঁর এই আবিষ্কার ও চর্চিত হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন গ্যালিলিওর পর জ্যোতির্বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ দশটি আবিষ্কারের মধ্যে সাহার এই আবিষ্কার অন্যতম।
অন্যান্য কর্মকাণ্ড
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই বৈজ্ঞানিক দামোদর উপত্যকার সংস্কার, বন্যা প্রতিরোধ, নদী পরিকল্পনা ও পঞ্জিকা সংস্কারের মতো কাজগুলিও করেছিলেন। এই মহান বিজ্ঞানীর উদ্যোগে ‘ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’, ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স’-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলি একে একে তৈরি হয়। তাঁর বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-‘The principle of Relativity’, ‘Treatise on Heat’ প্রভৃতি।