![]() |
বাঙালি চিত্রকলা চর্চায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচী অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো |
শিল্পী হিসেবে অন্নদাপ্রসাদ বাগচীর আত্মপ্রকাশ
লন্ডনে ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে ‘গ্রেট এগজিবিশন’-এ ভারতীয় চিত্রকলার নিদর্শন যথেষ্ট সাড়া ফেলায় ভারতীয়দের মধ্যে শিল্পকলা শিক্ষার আগ্রহ জন্মায়। ফলস্বরূপ ১৮৫৪-তে ‘সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্ট’ স্থাপিত হয়। অন্নদাপ্রসাদ বাগচি ছিলেন এই স্কুলের ছাত্র। পরবর্তীতে এটি ব্রিটিশ সরকার গ্রহণ করে নাম দেন ‘গভর্নমেন্ট তিনি ‘কাঠ খোদাই’ লিথোগ্রাফি ও তৈলচিত্রে অঙ্কনের স্কুল অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট’। এই স্কুলে থাকার সময়ই শিক্ষা লাভ করেন। রাজেন্দ্রলাল মিত্রের সঙ্গে ভ্রমণকালে তিনি ওড়িশার বিভিন্ন সৌধ ও মন্দিরের ছবি আঁকেন। এ ছাড়াও রাজেন্দ্রলাল মিত্রের ‘অ্যান্টিকুইটিজ অফ উড়িষ্যা’ এবং ‘বুদ্ধ গয়া’ গ্রন্থের বেশিরভাগ ছবিই তিনি এঁকেছিলেন।
কৃতিত্ব ও কর্মজীবন
১৮৭৪-এ নিউ ইম্পেরিয়াল মিউজিয়ামের প্রদর্শনীতে অন্নদাপ্রসাদের চিত্রকর্ম বিশেষ সুনাম অর্জন করে। ১৮৭৮-এ তিনি ক্যালকাটা আর্ট স্টুডিয়ো প্রতিষ্ঠা করেন। এর লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় ও পৌরাণিক চিত্রের জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করা। এ ছাড়া গ্রন্থ এবং জার্নালের জন্য ছবি আঁকার কাজেও তিনি হাত দিয়েছিলেন। অন্নদাপ্রসাদ বাগচী কিছুদিন সরকারি আর্ট স্কুলের প্রশিক্ষক পদে থাকলেও পরে অধ্যক্ষ হন।
অনন্যতা ও স্বাতন্ত্র্য
তাঁর অনন্য অবদান হল প্রথম শিল্প বিষয়ক পত্র। ‘শিল্প পুষ্পাঞ্জলি’ প্রকাশে সহযোগিতায় তিনি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। অন্নদাপ্রসাদ বাগচী বঙ্গীয় কলা সংসদের সভাপতি হন। তিনিই প্রথম পরমহংসদেব-এর ছবি জনপ্রিয় করে তোলেন।