![]() |
বাঙালি বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো। |
ভারতে রাশিবিজ্ঞানের জনক
অবদান ও মৌলিক গবেষণামূলক কাজ
১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে এই মহান পরিসংখ্যানবিদ ভারতীয় ছাত্রদের রাশিবিজ্ঞান, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য তাঁর জীবনের অক্ষয়কীর্তিরূপে স্থাপন করেন ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসস্টিক্যাল ইন্সটিটিউট’ (ISI)। তিনি রাশিবিজ্ঞানের আলোকে বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত মৌলিক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া নৃবিজ্ঞানে রাশিবিজ্ঞানকে প্রয়োগ করে তিনি ‘মহলানবিশ ডিস্ট্যান্স’ নামে এক তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। তাঁর অন্যান্য কীর্তির মধ্যে রয়েছে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশিবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাঠের ব্যবস্থা করা। তিনি ১৯৪৫-এ বাংলা সরকারের রাশিবিজ্ঞান সম্বন্ধীয় উপদেষ্টারূপে নিযুক্ত হন। তাঁকে কেন্দ্র করে ১৯৪৬-এ বাংলা সহ আরও বারোটি প্রদেশে স্ট্যাটিসস্টিক্যাল ব্যুরো স্থাপিত হয়।
সম্মান ও স্বীকৃতি
এই মহান ব্যক্তিত্ব সারাজীবনে অনেক সম্মান পেয়েছেন ও রাশিবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা তথা ভারতীয়দের পথ দেখিয়েছেন। তিনি ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ইনটারন্যাশনাল স্ট্যাটিসস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক এবং কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত হন।