বিশ্বকর্মা মহাত্মা-কাকে, কেন বলা হয়েছে

যিনি বিশ্বকর্মা মহাত্মা

সৈয়দ মুজতবা আলী একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও প্রবন্ধকার। তিনি তাঁর ‘পঁচিশে বৈশাখ’ নামক প্রবন্ধে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তাঁর সংগীতসৃষ্টির কৃতিত্বের জন্য ‘বিশ্বকর্মা মহাত্মা’ অভিধায় ভূষিত করেছেন।

যে কারণে তিনি বিশ্বকর্মা মহাত্মা

বিশ্বকর্মা হলেন পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা। তিনি বিশ্বভুবন নির্মাণ করেন।

গান রচনার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় রেখেছেন। প্রাবন্ধিক ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান রচনা বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছেন, তাঁর মতে সংগীতসৃষ্টির জন্য রবীন্দ্রনাথ ‘অজরামর’ হয়ে থাকবেন। লেখক রবীন্দ্র সংগীতের সুরমূর্ছনায় এতটাই মুগ্ধ যে, তিনি মন্তব্য করেন- “মৃত্তিকার বন্ধন থেকে রবীন্দ্রনাথ কত শতবার আমাদের নিয়ে গিয়েছেন ‘নীলাম্বরের মর্মমাঝে’।” এত সুন্দর শব্দচয়ন এবং সেই শব্দগুলির বিশেষ স্থানে সংস্থাপন, যা লেখকের হৃদয়-মনকে অভাবিত, কল্পনাতীতভাবে ভরিয়ে দেয়। রবীন্দ্রসংগীত ‘মাত্র কয়েকটি শব্দ আর একটুখানি সুর দিয়ে’ মানুষকে দেবতা বানিয়ে, আবার তাকে দেবতার চেয়ে মহত্তর মানুষ করে তোলে। ‘দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা’-যাঁর সৃষ্টি এবং এই অলৌকিক কর্ম যিনি করেছেন সেই মহাপুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন সৃষ্টির দেবতার মতোই ‘বিশ্বকর্মা মহাত্মা’।

Leave a Comment